পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न भू नां কালাচাঁদ একটু শিহরে ওঠে। সারা দেশটাতে বড় সস্তা আর সহজ হয়ে গিয়েছে মানুষের মরণ । O নিরুপায়, তবু ভাবতে হয়। ভাববার ক্ষমতা নেই, তবু ভাবতে হয়। উদরের ভোতা বেদনা কুয়াশার মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠে মাথার মধ্যে সব ঝাপসা করে রেখেছে, কী করা উচিত তার জবাব কোথায়, কে জানো ! ভাবতে গেলে মাথার বদলে কেশবের শরীরটাই যেন বিমঝিম করে। এ গায়ের রাখালের বোন আর দীনেশের মেয়ে এভাবে বিক্রী হয়েছিল। কালাচাদের কাছে নয়, অন্য দু’জন ভিন্ন লোকের কাছে। তবু তো শেষ পর্য্যন্ত রাখাল বাঁচতে পারেনি। ঘরে মরে পচে সে চারিদিকে দুৰ্গন্ধ ছড়িয়েছে। দীনেশও তার পরিবারের ঝড়তি পড়তি মানুষ কটাকে নিয়ে কোথায় যেন পাড়ি দিয়েছে তার ঠিকানা নেই। তাছাড়া ওরা কেউ বামুন নয়। ঠিক কেশবের মতো ভদ্রও নয়। শূদ্রজাতীয় সাধারণ গোরস্থ মানুষ। ওরা যা পেরেছে কেশবের কি তা পারা উচিত ? বুকটা ধড়ফড় করে কেশবের । তার মৃতদেহের নাড়ী সচল হয়। তালাধর কাণে শঙ্খ ঘণ্টা সংস্কৃত শব্দের গুঞ্জন শোনে, চুলকানি ভরা ত্বকে স্নান ও তসরের স্পর্শ পায়, পচা মড়ার স্মৃতিভ্রষ্ট নাকে ফুল চন্দনের গন্ধ লাগে। বন্ধ করা চোখের সামনে এলো-মেলো উল্টোপাল্টাভাবে ভেসে আসে ছাতনাতলা, যজ্ঞাগ্নি, দানসামগ্রী, চলিপির শৈল, সারি সারি মানুষের সামনে সারি সারি কলাপাত । মনে যেন পড়তে থাকে। সে শৈলর বাপ ! কচুশাক দিয়ে ফ্যানভাত দু'টি খাওয়ার সময় সারি সারি লোকের V