পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डां उन कां का ० ब्र g १ों झ সে জানত না । ঠাকুর দেবতার সঙ্গে এ সব ইয়ার্কি ফাজলামি তার ভাল লাগে না। একটু ভয় করে। মনটা অভিভূত হয়ে পড়তে চায়। গৃহস্থের শান্ত পবিত্র অন্তঃপুরে জলচৌকিতে শুকনো ফুলপাতায় অধিষ্ঠিত দেবতা, সদব্রাহ্মণের মন্ত্রোচ্চারণ, নির্জন মাঠঘাট প্রান্তরের মফস্বলে পুঞ্জীভূত মধ্যরাত্রির নিজস্ব ভীতিকর রহস্য তাকে কাবু করে দিতে চায়। মনে মনে নিজেকে গাল দিতে দিতে সে ভাবে যে বুড়োর এ পাগলামিতে রাজী না হওয়াই তার উচিত ছিল। প্রদীপটা নিবে যাওয়ামাত্র কালাচাঁদ হাত টেনে নিল। তার হাতে শৈলর হাত ঘামে ভিজে গিয়েছিল। কালাচাঁদের গা-ও ঘেমে গিয়েছিল। রুমালে মুখ মুছে শক্ত করে শৈলর হাত ধরে টানতে টানতে সে বার হয়ে গেল। নিজেও বিদায় নিল না, শৈলকেও বিদায় নিতে দিল না । দোকানীর কাছে ক্রেতা বা পণ্য কোন, পক্ষই বিদায় নেয় না বলে অবশ্য নয় ; কালাচাদের ভাল লাগছিল না । শৈলও থ” বনে গিয়েছিল । শিউলি জবা গাছের মাঝ দিয়ে বাড়ীর সামনে কঁচা রাস্তায় পা দিতে দিতে এ-ভাবটা শৈলর কেটে গেল। সেইখানে প্রথম হাত টেনে প্রথমবার সে বলল, “আমি যাব না।” আরও কয়েকবার হােতটানা ও যাব না বলার পর জোরে কেঁদে উঠবার উপক্রম করায় তারই শাড়ীর আঁচলটা তার মুখে গুজে দিয়ে কালাচাঁদ তাকে পাজাকোলা করে তুলে নিল। তখন কয়েক মুহুর্ত্তের জন্য হাল্কা রোগা শরীরে জোর এল অদ্ভত রকমের। পরপর কয়েকবার রোমাঞ্চ আসার সঙ্গে হাত পা ছুড়ে সে ধনুকের মতাে বঁকা হয়ে যেতে