পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আ জা কা লা পা র শু। র গা টুল ঠাকুরের সামনে ওর বাবা মন্ত্র পড়ে ওকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। আমি বলি কি, বাড়ী নিয়ে যাই, এক কোণে পড়ে থাকবে দাসীচাকরাণীর মতো ।” দু’জনে প্রচণ্ড কলহ হয়ে গেল। বাস্তব, অশ্লীল, কুৎসিত কলহ। কালাচাঁদ রাগ করে একটা মদের বােতল হাতে করে শৈলুর ঘরে গিয়ে ভিতর হতে খিল বন্ধ করে দিল । পরদিন দুপুরে সে গেল বাড়ী। স্ত্রীর সঙ্গে বাকী দিনটা বোঝাপড়া করে সন্ধ্যার পর গাড়ী নিয়ে শৈলকে আনতে গেল । বাড়ীতে ঢুকতেই মন্দোদরী তাকে নিজের ঘরে টেনে নিয়ে গেল। “শৈলির ঘরে লোক আছে।” কালাচাদের মাথায় যেন আগুন ধরে গেল । মনে হল, মন্দোদরীকে সে বুঝি খুন করে ফেলবে। , লোক আছে ! আমার বিয়ে করা স্ত্রীর ঘরে—” মন্দোদরী নিঃশব্দে মোটা একতাড়া নোট বার করে কালাচাঁদের সামনে ধরল। একটু ইতস্তত করে নোটগুলি হাতে নিয়ে কালাচাঁদ সন্তৰ্পণে গুণতে আরম্ভ করল । গোণা শেষ হবার পর মনে হল সে যেন মন্ত্রবলে ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। লোকটা কে ? “সেই গজেন। চাল বেচে লাল হয়ে গেছে।’ নোটের মোটা তাড়াটা নাড়াচাড়ার সঙ্গে কালাচাঁদের চােখমুখের নিঃশব্দ বিস্ময় ও প্রশ্ন অনুমান করে সে আবার বলল, খেয়াল চেপেছে, ও আবার বেশী টাকা কি ? গেয়ে কুমারী খুজছিল।” do