পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

त्रूटी বুড়ীর বড় পুতি আজ যাবে বিয়ে করতে। ছেলের ছেলে তার ছেলে, বড় সহজ কথা নয়। বুড়ীকে বাদ দিয়েই বাড়ীতে চলেছে আপনজনে-ভরাট বাড়ীর ছেলে বিয়ে করতে গেলে যত কিছু কাণ্ডকারখানা হয়-রোজ সংসারের সাধারণ হৈ-চৈ-ও যেমন ওকে বাদ দিয়ে চলে। তবু যেন বুড়ী আজও হাজির আছে সব কিছুর মধ্যে প্রত্যক্ষে আর পরোক্ষে, বাড়ীর প্রতিদিনের সমবেত জীবনযাত্রাতেও যেমন থাকে। তিনি কুড়ি বছরের জীবন্তু উপস্থিতির অভ্যস্ত ডালপালা আর শিকড় নিয়ে আছে—বড় ঘরের পশ্চিমের ওই মরা হাজা শুকনো গাছটার মতো, যার ডালে সারাদিন পাখী কিচির-মিচির করে আর নিশুতি রাতে ভাঙ্গাচোর হাওয়া আওয়াজ তোলে মরমর ANKANK ন্যাকড়া কঁথার কঁাড়ি আর পুটুলি বালিশ নিয়ে বুড়ী দাওয়ায় বসে থাকে, দাওয়ার চালা নীচু করে নামানো। মরচে-ধরা কোমর, বঁকা পিঠ, শনের নুড়ি চুল, লোল চামড়া, ফোকলা মুখ, তোবড়ান গাল, ছানিকাটা নিম্প্রভ চোখ। লাঠি ধরে গুটি গুটি চলতে ফিরতে পারে, শক্তই আছে মনে হয় চামড়া-ঢাকা হাড় আর পাজার-ঢাকা ফুসফুসবেশ জোরে চোঁচাতে পারে। শুয়ে বসেই থাকে বেশী, বিড় বিড় করে আপনি মনেই বক বক করে কাটায় বেশীরভাগ সময় । থেকে ()