পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उां उ कां का ° द्व (g टू 5ों छ গোপাল শোনে আর ভাবে, কানায়ের বাড়ী কেন এসেছিল । সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে হঠাৎ উঠে সে বিদায় নেয়। কানায়ের বাড়ী থেকে বেরিয়ে জীবনে প্রথম বিজের বিরুদ্ধে নালিশ ক’রে গোপাল নিজেকে ধিক্কার দেয়, ভূষণের বাড়ীর কাছে পৌঁছন পর্যন্ত। সুধার রক্তে পৃথিবী ভেসে যাচ্ছে। ভীমের সত্তর বছরের বুড়ী মা, যে কানে কম শোনে, চোখে কম দ্যাখে, সে সুধাময়ীকে মারছে । এই রোমাঞ্চকর দৃশ্য মনে তার কেটে কেটে বসে গিয়েছে অথচ দুঃখ-বেদনার বদলে সে অনুভব করছে সন্তোষ ! যা হওয়া উচিত এ যেন তাই হয়েছে ! নিয়ম রক্ষা-নীতির সম্মান বজায় থেকেছে। কানাই কষ্ট পাক, তাতে পরম তৃপ্তি বোধ হোক, ততখানি হিংসুটে ছোটলোক হতে জেলখাটা গোপালের আপত্তি নেই। কিন্তু কানাইকে শাস্তি দেবার জন্য সুধাময়ীর রক্তে পৃথিবী ভাসিয়ে দেওয়ার মতো অমানুষ হওয়া কি তার উচিত ? গায়ের অনেকের বাড়ী ঘুরেও, কার” ক’জন আপনজন না খেয়ে মরেছে শুনেও, ভূষণমামার সঙ্গে আলাপ করে সুধাময়ীর জন্য ব্যথা বোধের অক্ষমতায় গোপাল কাবু হয়ে রইল। ভূষণের বাড়ীর কাছে যখন সে পৌছল, সন্ধ্যা উৎরে গেছে। চাঁদ বুঝি উঠবে মাঝ রাতের কাছাকাছি, আকাশের কুয়াশায় তারাগুলি স্নান, অন্ধকার ঘন হয়ে এসেছে। ভূষণের মেয়ে রতন সেই অন্ধকারের ভেতর থেকে এসে গোপালের হাত ধরাল । ‘চাল এনেছো তো ? আজি আগে চাল দেবে, তবে ছুতে দেব। মাইরি বলছি কানাই।বাবু-”হুস করে একটা শ্বাস টানার শব্দ হল । ܓܟܠ.