পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可丽西夺常可窄可鸣玄究窗 যতীন মন্দ আনতে যায়, পুলকেশ বসে বসে ভাবে। যতীনের অধঃপতনে মনটা তার খারাপ হয়ে যায়। যতীন এসে বসলে সে জিজ্ঞেস করে, ‘কদিন খাচ্ছিস ?” “বছর দু’তিন ? “এটা ধরলি কেন ? প্রশ্ন শুনে যতীন হাসে —“খেলে একটু ভাল লাগে আবার কেন ? গেলাসে মদ ঢেলে ঢেলে খেতে খেতে যতীনের অন্তরঙ্গতা বাড়তে থাকে, কথা সে বলতে থাকে তাড়াতাড়ি, বেশী বেশী। একবার চুমুক দিয়েই পুলকেশের সর্বাগে শিউরে উঠেছিল, বমি ঠেলে উঠেছিল। আর খাবার চেষ্টা না করে সে যতীনের কথা শুনে যায়। অদৃষ্ট বড় খারাপ ব্যবহার করেছে। যতীনের সঙ্গে, ঘা মেরে মেরে থেতলে দিয়েছে জীবনটা, কোনদিন বিশেষ সুবিধা করতে দেয়নি। চাকরীর গোড়ায় বাপ মারা গেল। কিছু টাকা হাতে পেয়ে চাকরী ছেড়ে একটা ব্যবসা আরম্ভ করেছিল, সুবিধা হল না। বীমার দালালী করেছিল কিছুদিন, সুবিধা হল না। একটা এজেন্সির কারবার ধরেছিল, সেটাতে কিছু হল না। দুটো ছেলে হবার পর বোঁটা পড়ল। অসুখে, সেই থেকে একটানা ভুগছে। বোনের বিয়ে দিয়েছিল, বোনটাকে তার স্বামী নেয় না। বিরক্ত হয়ে সকলকে দেশের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে সে কলকাতায় নতুন একটা ব্যবসা ফেদেছে। ‘সংসারের হাঙ্গামা নেই, খরচের টাকা পাঠাই, বাস। এবার ঠিক গুছিয়ে নেব। দু’বছরের মধ্যে যদি না মোটর কিনি তো—” bro