পাতা:আজ কাল পরশুর গল্প.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা র পা র স্কুলে পর্যন্ত দিয়েছে। স্কুলে গজেন ক্লাস সেভেন পর্য্যন্ত উঠেছিল। ফেল করেই করেই সে ক্লাসে উঠেছিল বরাবর। কিন্তু একবার, ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে উঠেছিল। ফাস্ট হয়ে । চারিদিকে সাড়া পড়ে গিয়েছিল এই চমকপ্রদ ঘটনায়। কিন্তু শুধু ওই একবার। তার আগে বা পরে আর কখনো সে পরীক্ষায় পাস করেনি-একমাত্র ড্রয়িং-এর পরীক্ষা ছাড়া। ড্রয়িং-এ তার হাতটা ছিল পাকা । এক হাতে এত সহজে এত ভাল ড্রয়িং সে করতে পারত যে অন্য ছেলেরা হঁ করে চেয়ে থাকত। ড্রয়িং মাস্টারের চেয়ে তার আঁকা পাখী ও গাছ জীবন্ত হত বেশী। তবে ছেলেবেলাতেই কেমন বখাটে হয়ে গেল। ছেলেটা । ক্লাস সেভেনে একবার ফেল করার পর আর তাকে পড়ানোই গেল না। পরপর কয়েকটি কেলেঙ্কারীর পর গিরিশ তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাড়িয়ে দেবার পরেও সে অবশ্য গিরিশের বাড়ীতেই থাকে। তাড়নো ছেলের মতো থাকে। এই বয়সেই দড়ির মতো পাকিয়ে দেহের মাংসপেশীগুলি তার শক্ত হয়ে গেছে, রোগা শরীরটাতে শক্তি আর সহিষ্ণুতা আশ্চর্য্যরকম। মুখে স্থায়ী ছাপ পড়েছে একটা শ্রান্ত সকরুণ জিজ্ঞাসার, ভাঙা বঁকা নাকটা যেন জিজ্ঞাসার ভারেই নুয়ে গেছে । আর কী ভীরু তার দুটি চােখ ! সবাই যেন যখন তখন তাকে মারে, আপন পর ছোট বড় দেবতা মানুষ নারী পুরুষ যে যেখানে আছে। নিরুপায় সঙ্গনশীলতায় সে যেন চুপচাপ সয়ে যায়। অসহ্য হলে অন্তরালে কঁাদে। মাঝে মাঝে দু’চার দিনের জন্য সে গা ছেড়ে উধাও হয়ে যেত । এবার প্রায় ছ'মাস কোথায় গিয়ে কাটিয়ে এল কেউ জানে না। সবাই SVO