পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থলে দেখে রাগে লজায় সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। এখন এসব কথা গল্পের মতই মনে হয়। এইরূপে ক্রমে স্বাধীনতার পথ সহজ ও পরিকৃত হয়ে এল। ক্রমে আমাদের বাড়ীর লোকের ( মেয়ে পুরুষ )। আমার ওখানে গিয়ে মধ্যে মধ্যে প্রবাস-যাপন করতে লাগলেন । ওদেশে বোম্বাই মান্দ্রাজে কোথাও বাঙ্গালা দেশের মত মেয়েদের অবরোধ প্রথা নেই। স্ত্রী-স্বাধীনতার মুক্তবায়ু সেবন ক’রে র্তাদের মনোভাব অনেক পরিমাণে বদলে গেল । পর্দার উচ্ছেদ সাধন আমার যে চিরকালের সাধ তা ক্রমে মেটাবার মত হয়ে এল। আমি বোম্বাই থেকে ছুটির সময় মাঝে মাঝে বাড়ী আসতুমি-তখন দেখি পর্দার তেমন কড়াক্কড় বঁধুনি নেই, অনেকটা শিথিল হয়ে এসেছে। তারপর এখন ! সেকাল আর একাল।--কি তফাৎ ! কলকাতা সহরের ভদ্র মহিলারা রাস্ত ঘাটে গাড়ীতে মোটরে ইচ্ছামত বেড়িয়ে ব্যাড়াচ্ছেন এ দৃশ্য কারও নূতন cछैएक ब1 । यi কিছুকাল পূর্বে কল্পনার ও অতীত ছিল এক্ষণে তা সহজ স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। সত্যি সত্যিই অন্তঃপুরবাসিনীগণ এখন মেমের মত গড়ের মাঠে হাওয়া খেয়ে ব্যাড়াচ্ছেন। এতদিনে আমার মনস্কামনা অনেকটা পূর্ণ হয়েছে। আমি আমার বাল্যজীবন সম্বন্ধে যে-কালের কথা পেড়েছি সে অপেক্ষাকৃত আধুনিক কাল। তখন আমাদের পরিবারে ব্রাহ্মধর্ম্মের প্রভাব এক প্রকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমার স্মৃতি তারও উৰ্দ্ধে অনেক দূর পর্য্যন্ত যায় ; এবার যতটা পারি সুদূর অতীতের চিত্র অঙ্কনের চেষ্টা করব । দ্বারিকানাথ ঠাকুর আমাকে কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করেন আমার পিতামহ জ্বারিকানাথ ঠাকুরকে মনে পড়ে কি না ? তার উত্তরে বলতে পারি। একেবারে মনে পড়ে না তা নয়, স্পষ্ট মনে পড়ে তাও নয়। একদিন তিনি আমাদের তিন ভাইকে ঘরে ডেকে নিয়ে কিছু দিয়েছিলেন, দুচারটি হাসির কথা বলেছিলেন, সে ঘরটি মনে আছে আর তার চেহারাও মনে পড়ে, তবে ঝাপসা ঝাপসা । তার যে চেহারা আমার মনে অঙ্কিত আছে তা সে-সময়কার চাক্ষুষ জ্ঞান থেকে কিম্বা তার যে সকল চিত্র আমরা সচরাচর দেখিতে পাই তার প্রতিচ্ছবি তা ঠিক বলা যায় না-খুব সম্ভব শেষটাই হবে। কর্ত্তাদাদা যখন আমাদের ছেড়ে বিলাত যাত্রা করেন তখন আমরা নিতান্ত শিত, সে সব ঘটনা কিছুই মনে নাই। এদেশে যখন তাঁর মৃত্যুর সংবাদ আসে তখন R