পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্রপাণি নীরদ তনু, কিছু হাতে শর। ধনু, কিছু ব্রজে বাজাও বেণু, চরাও ধেনু গোঠোতে ॥ যারে। প্রভু ধরা পায়, কাঙ্গালিনী কর তায়, কাঙ্গালিনী তব কৃপায়, বসে সিংহাসনেতে ॥ বৈঠকি গানে তখন টপ্পা গানেরও জাকজমক খুব । রামনিধি গুপ্ত বা নিধুবাবু টিপ্লার রাজা। একদিকে শ্রীধর কথকের, অন্যদিকে ছাতুবাবুর টপ্পারাও চলতি সে সময় খুব ছিল। পিতৃদেব কতকগুলি উৎকৃষ্ট টপ্পা গীত রচনা করেন। অনেকগুলি -সে সময়ে খুব চলিত ছিল । দুই একটি এখনও চলিত আছে। স্বনামপ্রসিদ্ধ সুলেখক আমাদের স্বগ্রামবাসী, আমার সোদর প্রতিম শ্রীযুক্ত দীননাথ ধরা গান করিয়া প্রথাকেন । রাগিণী-কিবিটে, তাল-কাওয়ালি । রামণি তোমার গুণে সুখময় এ সংসার, জগতমোহিনী তুমি জগতের অলঙ্কার। তুমি যদি এ মহীতে বিধুমুখে না হাসিতে শশিশূন্য নিশিসম হত সব অন্ধকার । তুমি ধনি যেই নরে নাহি হের প্রেমভরে, নরপতি হয় যদি সংসারে সন্ন্যাস তার । গার ভৈরবী-মধ্যমান । না হয়ে পুরুষ যদি রমণী হইতে, প্রেম যে কেমন ধন তবে প্রাণ জানিতে । প্রাণ-প্রেম পরস্পর পুরুষে তা স্বতন্তর, নারীর জীবন কিন্তু কেবল তার প্রেমেতে । দেখহ পুরুষ যত থাকে নানা কাজে রত, ধন, মান, আর কত, অভিলাষ করে চিতে । রমণী নহে তেমন, প্রেমে মাত্র তার মন, সে ধনে বঞ্চিত হলে, জানে কেবল কঁাদিতে । তখন যাহাকে ব্রহ্মসঙ্গীত বলিত, সেরূপ গানও কয়েকটি পিতৃদেব রচনা করেন। দুইটি নমুনা-স্বরূপ দিতেছি-প্রথমটি সন্দেহ দূরীকরণার্থ ; যথা ভাবিতে উহারে মন কেনারে সংশয় ? অখিল ব্রহ্মাণ্ড যার সাদা দেয় পরিচয় । a