পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবসেন্তে দিবাকর, রজনীতে নিশাকার, আর যত তারাগণ ভ্রমে আর এই কয়, “এক সর্ব্বশক্তিমান যিনি ব্যাপ্ত সর্ব্বস্থান, আমা সবার নির্ম্মাণ সেই প্রভু হতে হয়” । যদি বল, তারা সবে, ভ্রমে সত্যত নীরবে, কেমনে সঙ্গীত। তবে তঁারি গুণ কয় ? কিন্তু রে অবোধ মন করি জ্ঞান কর্ণাৰ্পণ, সে অপুর্ব্ববর্ণ কীর্ত্তন শুনিবে নিশ্চয় । ভাবিতে তঁহারে মন নাহিক সংশয়, অখিল ব্রহ্মাণ্ড তার সাদা দেয় পরিচয় | * দ্বিতীয় গানটি ভক্তিভরে,- আশ্চর্য্য তোমার কার্য্য বাক্যমনে পথাতীত, ভাবিলে আনন্দ-সিন্ধু হয় মনে উচ্ছসিত, এই দেখি প্রভাকরে ভুবন উজ্জল করে, ক্ষণেক বিলম্ব পরে সব তম। আচ্ছাদিত । কীভূ প্রভু অকস্মাৎ হয় ঝঙ্কাবস্ত্রপাত, কাভু মন্দ মন্দ বাত সৃষ্টি করে আমোদিত। এইরূপ তবাদেশে কাল প্রদেশ বিশেষে, প্রকৃতি বিবিধ-বেশে হয়। প্রকাশিত । তুমি প্রভু মূলাধার যা কর তা চমৎকার, তব মহিমা অপারে, তব কার্য্যে পরিচিত । আশ্চর্য্য তোমার কার্য্য বাক্যমনো পথাতীত, ভাবিলে আনন্দ সিন্ধু হয় মনে উচ্ছসিত ৷ ব্রহ্মসঙ্গীতের কথায় সেই সময়কার ব্রাহ্মধর্ম্মের কথা বলিতে হইতেছে । আর “পিতার সহিত ব্রাহ্মধর্ম্মের সম্পর্কের কথাও বলিতে হইতেছে। পিতা তত্ত্ববোধিনী সভায় নিয়মিত চান্দা দিতেন ; তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা নিয়মিতরূপে গ্রহণ করিতেন, পাঠ করিতেন, আলোচনা করিতেন। ব্রাহ্ম ধর্ম্মপুস্তক আমাদের বাড়ীতে ছিল। প্রথম সংখ্যা হইতে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ছিল ; আর পূর্বেই বলিয়াছি “বাহবন্তর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার” ছিল । হিন্দু ব্যবহারে, ব্রাহ্ম ব্যবহারে যে কিছু পার্থক্য আছে, এরূপ কথা শৈশবে আমি জানিতাম না । পিতার ব্যবহারেও কিছু বুঝিতাম। না। পত্র কিম্বা কোন কিছু লিখিবার পূর্বে, আমি তখন যত লোক জানিতাম, NOS