পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DDD SLtt SS BDDLYYS DBBB DLE LDBBD K BDB BBDSDD sMB BDB আহলাদে আটখানা হইলাম। প্যারীচঁাদ মিত্রের গ্রন্থাবলী প্রকাশের অবসরে ভূমিকায় যে কথা বঙ্কিমচন্দ্র জগৎকে বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছেন,-স্পৰ্দ্ধা করিতেছি মনে করিবেন না, সত্য কথা বলিতেছি, সেই কথা তখনই আমরা বুঝিতে পারিয়াছিলাম। বুঝিয়াছিলাম সংস্কৃতানুসারিণী বাঙ্গালা ভাষা অতি সুন্দর হইলেও বয়স্ক কুলীনকন্যার মত যেন কেমন কেমন বোধ হইত । শীঘ্র ভিন্ন গোত্রা হউক, আপনার ঘর আপনি করিতে শিখুক, আপনার পথ আপনি দেখুক, এই প্রকার ইচ্ছা হইত। যখন টেক চাদ ঘটক সাজিয়া সোজা বাঙ্গালাকে বরু সাজাইয়া সভাতে উপস্থিত করিলেন, তখনও পাত্র আপনাদের আত্মীয় হইলেও কেমন যেন ছোট ঘরের অপাত্র বলিয়া বোধ হইল । বঙ্কিমবাবু যখন স্বয়ং বরবেশে উপস্থিত হইলেন, তখন তাহাকেই উপযুক্ত সৎপাত্র বলিয়া বোধ হইল। পাত্র মিলিল দেখিয়া, সেই আহিলাদেই আহিলাদিত হইয়াছিলাম । পরে দেখা গিয়াছে, আমাদের সেই আহলাদ বালকের আহলাদ হয় নাই। বঙ্গভাষায় বঙ্কিমচন্দ্র আত্মসমৰ্পণ করিয়া প্রতারিত হন নাই । বঙ্কিমচন্দ্র ভাষার নানারূপ সেবা করিয়াছেন, বিবিধ ভূষণে ভূষিত করিয়াছেন এবং এক ভাষার গুণে বাঙ্গালীকে জগতের নিকট পরিচিত করিয়াছেন । তাহার গ্রন্থ ইংরাজী ফরাসীতে অনুবাদিত श् ब्रांछि । আমাদের কলিকাতার কালেজ জীবনের শেষাবস্থায় বঙ্কিমচন্দ্রের "কপালকুণ্ডলা।” প্রকাশিত হইল। এমন অচ্ছিন্দ্র, উজ্জল, বাচালতা-শূন্য অথচ রসপরিপূর্ণ হিন্মুভাৰে অস্থিমজ্জায় গঠিত, অদৃষ্টবাদের সূক্ষ্মতিসূক্ষ্মী রেখায় ওতপ্রোত-কাব্যগ্রন্থ, বাঙ্গালায় আর নাই । কেবলমাত্র “কপালকুণ্ডলা” লিখিলেই, কপালকুণ্ডলাকার কবি বলিয়া পরিচিত হইতেন । অন্য গ্রন্থ লিখিবার প্রয়োজন ছিল না । আমরা যৌবনের সেই ভাবোম্বেল অবস্থায়, সংসার প্রবেশের সেই প্রথম উদ্যমে, এই অপূর্ব্ব কাব্যগ্রন্থ বাঙ্গালা ভাষায়, বাঙ্গালিব লেখায় পাইয়া, একেবারে চরিতার্থ হইলাম। প্রেসিডেন্সি কলেজের আইনের তৃতীয় শ্রেণীতে, বঙ্কিমচন্দ্রকে আমাদিগের সহাধ্যায়ী পাইয়া, আপনাদিগকে গৌরবান্বিত মনে করিলাম। কিন্তু এই গৌরব। একটা কিন্তু পড়িল । এখন যেখানে D DBBDSBDBDDDB BiB BDB SJuSDBD DDD DBBBBD DDES BBBB BDDD হইতে, আর্দালিকে দিয়া ছাতা ধরাইয়া, বঙ্কিমচন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন শ্রেণীর গ্যালারিতে আসিয়া উপস্থিত হইতেন । সুন্দর, সুশ্রী-গঠন, পাতলা পাতলা দেহ, উন্নত নাসিকা, উজ্জল চক্ষু, ঠোঁটের আশে পাশে একটু একটু হাসি আছে। কিন্তু সেই হাসির সঙ্গে আছে প্রবল গত্রিমা জ্ঞান। আসেন, এক পার্থে বসেন, চুপ করিয়া বসিয়া থাকেন, কাহারও সহিত কথা কহেন না । তৎকালিক সংস্কৃতাধ্যাপক R r