পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল্টাপান্টি হইয়া গেল। এইরূপ নবরত্বের সহিত ঘোরতীয় রাক্ষস-সুলভ ৱাক্ষসী 科マs1 マ曾マ沖電 মাইকেলকে লইয়া ঘোরতর বিতণ্ডাই হইত। কোনপক্ষে জয় পরাজয় স্থির হইত না। আমি প্রকাশ্যত মাইকেল-বিদ্বেষী বটে, কিন্তু মাইকেলের কবিতা আবৃত্তি কালে, কাব্যের রাসভঙ্গ করিবার জন্য, আমি কোন প্রকার বিদ্বেষ ভাব প্রকাশ করিতাম না । এ কথা সকলেই বলিতেন । এবং আবৃত্তিতে ছন্দ ও রস সম্পূর্ণরূপে রক্ষা হয়, এ কথা বলিয়া সকলেই আমার প্রশংসা করিতেন । বররুচি প্রধান আলিঙ্কারিক । তিনি একদিন বলিলেন যে, মাইকেলের অনুপ্রাস বড়ই মিষ্ট । আমি বলিলাম, কি বলিতেছেন বুঝাইয়া দিউন ; তিনি বলিলেন যেমন-“কিম্বা বিম্বাধরা রমা অম্বুরাশি তলে ।” আমি বলিবাম এইরূপ মিষ্ট অনুপ্রাস স্বচ্ছন্দে মুখে মুখে করা যাইতে পারে।” তিনি বলিলেন, “একটা করুন।” আমি বলিলাম “কানচেন-রাঘব-বাঞ্ছা গামছা আনাচে কোটা ?” কেবল বিতণ্ডা নহে, এরূপ বিদ্রুপ-ব্যঙ্গ সর্বদাই হইত। একদিন বররুচি কালিদাসকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে “এমন কি পদার্থ আছে, যাহা থাকা ভাল, কিন্তু পাওয়া মন্দ ?” কালিদাস শুনিয়াই উত্তর করিলেন,-“কৃষ্ণ”। কৃষ্ণ থাকা ভাল, কিন্তু কৃষ্ণপ্রাপ্তি মন্দ । উত্তর ঝটিতি বলতে, এবং কৃষ্ণপ্রাপ্তি কথা থাকাতে সকলেই হাস্য করিলেন, কিন্তু সদুত্তর হয় নাই বলিয়া সকলেই বিশ্বাস করিলেন । বররুচি অবশ্য বলিলেন, তাহার প্রশ্নের উত্তর হয় নাই । পরদিন অশ্বব্যানে কাছারি অ্যাসিতে আসিতে, কালিদাস, বররুচির বাসভবনের নিকট অশ্বযান থামাইয়া, এই কবিতাটি তাহাকে শকট হইতে বলিয়া আসিলেন ;- “প্রহেলিকা অর্থ তব শুন হে রসিক, भद्म श्ऊ नांद्री उiश्! शब्रश अधिक ; বিশেষ কি কবি আর বুঝে দেখ ভাই ? কল্য না বলিতে পারি পাইয়াছি তাই ॥* তাহার পর সভায় আসিয়া কালিদাস বলিলেন “বররুচির প্রহেলিকার সদর্থ আমি তাহাকে বলিয়া আসিয়াছি। বলিয়া আবার কবিতাটি আওড়াইলেন। বিক্রমাদিত্য বলিলেন-“এ যে বড় দায় হইল-প্রহেলিকার অর্থ প্রহেলিকায়, এরূপ কতবার চলিবে ?” একদিন রাক্ষস মহাদম্ভে নবরত্ন সভা আক্রমণ করিলেন । প্রহেলিকায় কবিতা আবৃত্তি করিলেন। “বার দিন, মাস তিন, থাকে থাকে থাকে, আপনার পরিচয় দেয় যাকে তা’কে, VR