পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিন পরে আসিয়াছিলেন। বড়মামা রবিবার প্রাতে সূতিকাগৃহের ঘাৱে দাড়াইয়া মোহর দিয়া ভাগিনার মুখ দেখিলেন। জননীর মুখে শুনিয়াছি, আমার মামা আমার মাথা ও কপাল দেখিয়া বলিয়াছিলেন, “আমার এই ভাগিনা বড়লোক হবে।” ক্রমে সূতিকাগৃহ হইতে বাহির হইয়া আমি মাতামহী, মামী ও মাসীদের কোলে বাড়িতে লাগিলাম। বিশেষত আমার মেজমাসী এক দিও আমাকে কোল হইতে बाभांश्cडs = । কিন্তু আমি পৃথিবীতে পদার্পণ করিবামাত্র মাতুলগৃহে ঘোর বিপ্লব উপস্থিত হইল। পূর্বেই বলিয়াছি, আমার মাতামহ মহাশয় স্বীয় অবস্থার উন্নতি করিয়া পৈতৃক ভিটা পরিত্যাগ পূর্বক, তাহার নাতিদূরে একটি দ্বিতল পাকা বাড়ি নির্মাণ করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণপণ্ডিতের ঐ দ্বিতল বাড়িটি পাড়ার লোকের চক্ষুশূল হইল। একখণ্ড পতিত জমি ক্রয় করিয়া সেই জমির উপরে ঐ বাড়িটি নির্মিত হইয়াছিল। কিন্তু ভূমিখণ্ড বহুদিন পতিত অবস্থাতে থাকাতে তাহার উপর দিয়া লোকের যাতায়াতের পথ হইয়া গিয়াছিল । বহু বহু বৎসর ধরিয়া লোকে সেই পথ দিয়া যাতায়াত করিত । কিন্তু মাতামহ যখন তাহা ক্রয় করিয়া, প্রাচীরের দ্বারা আবদ্ধ করিয়া, তদুপরি গৃহনির্মাণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন তাহা লইয়া বিবাদ ও বিষম দলাদলি ও তাহার ফলস্বরূপ মামলা মোকদম উপস্থিত হইল। তখন প্রতিবেশীগণ আমার মাতুল-পরিবারের প্রতি এরূপ উপদ্রব আরম্ভ করিল যে, তাহারা বাধ্য হইয়া গ্রাম পরিত্যাগ করিয়া কলিকাতায় আসিয়া বাস করিতে বাধ্য হইলেন। সেই সূত্রে আমার ছয় মাস বয়সে জননী আমাকে লইয়া আমাদের বাসগ্রাম মজিলপুরের বাটিতে গেলেন। আমার প্রপিতামহ তখন সকল কর্ম হইতে অবস্থিত হইয়া গৃহে আসিয়া বসিয়াছেন ; চক্ষে দেখেন না, কানে শোনেন না। তিনি আমাকে পাইয়া “আমার বংশধর আসিয়াছে’ বলিয়া মহা আনন্দিত হইলেন, এবং আমাকে “বাবা বাবা’ করিয়া ७ांकिड्ठ व्लालिम । শৈশবে অশান্তি । আমার এতটা অভ্যর্থনা আমার दएछनिनौद्र नशु छ्छ्रेल मा । কয়েক বৎসর পূর্বে আমার কাকার মৃত্যু হওয়ার পর, ও ছােটপিসী শ্বশুরালয়ে যাওয়ার পর, তিনি নিজ পুত্রকন্যাগণকে লইয়া গৃহের কত্রী হইয়া বসিয়াছিলেন। সে ভিটা যে তাঁহাকে কোন দিন পরিত্যাগ করিতে হইবে, তাহা বোধ হয় স্বপ্নেও জানিতেন। ना। श्रृंश्कर्डी औश्र निडाश्द्र शरड न्डम बरसंश् ७छे আদর দেখিয়া তাহার আর এক চিন্তার উদয় হইল। তিনি বুঝিলেন, তিনি এতদিন ভিতরে থাকিয়াও বাহিরে রহিয়াছেন। yV