পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৩

যাহা হউক, আমার পিসীমা আমার প্রপিতামহের তিরস্কার খাইয়া খাইয়া বুঝিতে পারিলেন যে আমাদের ভিটাতে আর তাহার থাকা হইতেছে না। পিসা মহাশয় আমাদের বাড়ির সম্মুখেই কিছু জমি লইয়া একটি বসতবাটী নির্মাণ করিলেন। পিসীমা সপরিবারে সেখানে উঠিয়া গেলেন। আমার বয়স তখন দুই কি আড়াই বৎসর হইবে । বড়পিসী উঠিয়া গেলে গৃহে শান্তি হইল বটে কিন্তু আমার মা’র আর এক প্রকার সংগ্রাম উপস্থিত হইল। একমাত্র দাসী সহায় করিয়া সেই বৃদ্ধ দাদাশ্বশুর। ও শিশুপুত্রের রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত হইতে হইল। একলা ঘরে একলা স্ত্রীলোক পাইয়া চোরে বড় উপদ্রব আরম্ভ করিল। কয়েকবার সিদ হইল। এক রাত্রে এক ঘরে পাঁচ জায়গায় সিদ ফুটাইয়াছিল। আমার মা। একদিকে চোরের উপদ্রব্য, অপর দিকে দুষ্ট লোকের উপদ্রব। বাবা তখন কলিকাতায় আমার মাতামহের বাসায় থাকি।যা সংস্কৃত কলেজে পড়িতেছেন । সুতরাং আমার মাকে বৎসরের অধিকাংশ কাল সশঙ্ক চিত্তে একাকিনী থাকিতে শুই", এবং আত্মরক্ষার জন্য অনেক সময় উগ্রমূর্তি ধারণ করিতে হইত। সেই অবধি মায়ের এমন একটা আত্মমর্যাদাজ্ঞান জন্মিয়াছিল যে, তাহার মর্যাদার অণুমাত্র লঙ্ঘন হইলে, তাহা সহ্য করিতে পারিতেন না; লাজমানকারীকে জানিতে দিতেন যে, ঐ স্ত্রীলোকটিয় ভিতরে স্নেহের বারিধারার ন্যায় আগ্নেয়গিরির অগ্নিও আছে । আমার মাতার আত্মমর্যাদাজ্ঞানের দৃষ্টান্ত স্বরূপ দুইটি ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। একটি আমার শৈশবে ঘটিয়াছিল, অপরটি বহু বৎসর পরে। প্রথম ঘটনাটি এই : পাঁচ বৎসর বয়স হইলেই মা আমাকে গ্রামের একটি পাঠশালে দিলেন । বসুপাড়ায় বসুদের বাড়িতে এক বধমেনে গুরুর পাঠশালা ছিল, তাহাতে আমাকে ভাত করা হইল । আমি তালপাতে লিখিতে আরম্ভ করিয়াই দিন দিন সমপাঠী বালক দিগের অপেক্ষা উন্নতি দেখাইতে লাগিলাম । ইহার কারণ এই, আমার মা সে সময়কার তুলনাতে অনেক লেখাপড়া জানিতেন। আমার বাবা কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় ও মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়ের প্রিয় মানুষ ছিলেন। তাহার মাত-সত একটু উদার ছিল, তিনি আমার মাকে লেখাপড়া শিখাইয়াছিলেন। মা প্রায় প্রতিদিন দুপুরবেলা রামায়ণ পড়িতেন। দুপুরবেলা। তিনি নিজে পড়িতেন ও আমাকে পড়িতে ও লিখিতে শিখাইতেন । সেইজন্য আমি পাঠশালে অপরাপর বালকে ৱ অপেক্ষা অধিক উন্নতি দেখাইতে লাগিলাম । ইহাতে গুরুমহাশয়ের কিছু অ শচর্য বোধ হওয়াতে তিনি একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা DBBBBBS SLDDDLDD DB BD BBDB BB D S BDD DBBBDBBDSGDBEDD DD S St