পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

ঈহাদের ভবনে আসিয়া! আমি অনেক প্রকারে উপকৃত হইল ‘ম ! প্রথম, মহেশবাবুর চবিত্র আমার সম্মুখে আদর্শের ন্যায় রহিল ; আমি যখনি তাঁহাকে দেখিতাম, আমার অন্তরে এক নূতন আকাজক্ষা জাগিত-। দ্বিতীয়ত, এখানে আসিয়া, রাধা ভাত ও পড়িবার উপযুক্ত গ্রন্থ সকল পাইয়। আমার পড়াশোনার বিশেষ সুবিধা হইল। যদিও বসাতে আমার ন্যায় অনেকগুলি ছাত্র প্রতিপালিত হইতেছিল, এবং অনেক সময় আমাদিগকে দলবদ্ধ হইয়া এক সঙ্গে বাস ও পাঠাদি করিতে হুইত, তথাপি আমার যে স্বাভাবিক নিবিষ্টচিত্তত আছে, তাহার গুণে আমার পাঠের বিশেষ ক্ষতি ঠাইত না । তৃতীয়ত, এখানে আসিয়া সমপাঠ কতকগুলি বালক পাইলাম, তঁহাদের দেখা-দেখি প্রতিদ্বন্দুিতা! হইতে আমার আত্মোন্নতি সাধনের ইচ্ছা অতীব প্রবল হইল । চতুর্থত, ব্রাহ্মসমাজ গৃহ আমাদের বাসার নিকট হওয়াতে আমি মধ্যে মধ্যে বক্তৃতাদি শুনিতে ব্রাহ্ম সমাজে যাইতে লাগিলাম ; আমি বোধ হয় ১৮৬২ সালে ভবানীপুরে যাই, কারণ এখানে ডেস্টিনি অব হিউমান লাইফ বিষয়ে কেশববাবুর যে ইংরাজী বক্তৃত হয় তাতা শুনিয়াছিলাম। তদ্ভিন্ন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বৰ্গীয় অযোধ্যানাথ পাকােড শী মহাশয় এখানকার ব্রাহ্মসমাজে ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপন করিয়া যে উপদেশ দিতেন, তাহার কতকগুলিও শুনিয়াছি । তখ’না হইতে ব্রাহ্মসমাজের দিকে মনে মনে একটু আকর্ষণ হয় । এই আকর্ষণের আরও দুইটি কারণ ছিল। প্রথম, ভবানীপুরে আমার এক সহাধ্যায়ী বন্ধ থাকিতেন, তাহাকে আমি অতিশয় ভালোবাসিতাম । তাহার জ্যেষ্ট সহোদর ব্রাহ্ম ছিলেন, তিনি আমাকে অতিশয় ভালোবাসিতেন এবং সমাজে যাইতে সলিতেন । গ্রামে-ব্রাহ্ম আন্দোলন । দ্বিতীয়ত, আমাদের বাসগ্রামে যে, ইতিপূবেই ব্রাহ্মধর্মের আন্দোলন উঠিয ছিল ও শিবকৃষ্ণ দত্ত নামে একজন যুবক সর্বপ্রথম ব্রাহ্মধর্মের বাতা আমাদের গ্রামে লইয়! যান, তাহ পূর্বেই বলিয়াছি। তাহার পিত! ব্রজনাথ দত্ত একজন উদারচেতা: পিসায়ী লোক ছিলেন, পণ্ডিতগণের সহিত সবাদ। শাস্ত্র আলোচনা করিতে ভালোবাসিতেন । তিনি কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের প্রকাশিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা লইতেন, ইহা ও পূর্বে বলিয়াছি ; সে সময়ে আমাদের গ্রামের বড় উন্নতির * অবস্থা ছিল । সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম আচার্য আরাধ্য ভক্তিভাজন উমেশচন্দ্র में ड, वgश्कश <कू কালীনাথ দত্ত, হরনাথ বসু, রমানাথ ঘোষ প্রভৃতি শিবকৃষ্ণ দত্তের দৃষ্টান্ত ও প্রভাবে ব্রাহ্মধর্মের অনুরাগী হইয়া ব্রাহ্মধর্ম অনুসারে অনুষ্ঠানাদি করিতে 邨 V to