পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে কুমারী এক্রয়েড বিবাহিত হওয়াতে, ঐ বিদ্যালয় বঙ্গমহিলা বিদ্যালয় নামে পরিবর্তিত হইয়া কিছুদিন পরে বেথুন কলেজের সহিত মিলিত হয়। বালিগঞ্জে একটি বাড়ি ভাড়া করিয়া এই স্কুল খোলা হইল। গাঙ্গুলী ভায়া নিজে একজন শিক্ষক হইলেন । শিক্ষক কেন, তিনি দিন-খান্ত্রি বিশ্রাম না জানিয়া ঐ স্কুলের উন্নতি সাধনে দেহ-মন নিয়োগ করিলেন । আমি ভবানীপুরে আসিয়া দেখিলাম যে ঐ স্কুল চলিতেছে ; গাঙ্গুলী ভায়া ছাড়িবার লোক ছিলেন না । আমি ভঁাহাকে অস্তরের সহিত প্রীতি ও শ্রদ্ধা করিতাম । এমন সাচ্চ সত্যানুরাগী লোক আমি অল্পই দেখিয়াছি। পূর্বোহ বলিয়াছি, গাঙ্গুলী ভায়া স্ত্রী-স্বাধীনতার নেতা ছিলেন । আমি স্ত্রী-স্বাধীনতার ভাবটা উহার মতো না লই, স্ত্রীজাতিব উন্নতি হয় ইহা অস্তরের সঠিত চাহিত’ম। আমি ভবানীপুরে আসিলেই গাঙ্গুলী ভায়া আমাকে ছিনা জোকের মতো ধরিয়া বসিলেন যে, আমার কন্যা হেমলতাকে বঙ্গমহিলা বিদ্যালয়ে দিতেই হইবে । সুতরাং হেমলতাকে বঙ্গমহিলা दिछालgश ब्लिांभ । প্রচারকগণের কার্যের বিচার হইতে পারে। কিনা ? এই সময়ে আর এক আন্দোলন উঠিল। আমার হরিনাভি বাস কালের মধ্যে কেশববাবুর প্রতিষ্ঠিত ভারত আশ্রমে এক ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ে আমার স্বগ্রামবাসী ব্রাহ্ম ভ্রাতা ই সুনাথ বসু মহাশয় সপরিবারে ভারত আশ্রমে থাকিতেন । হরিনাথবাবু মন-খোলা, মহোৎসাহী মানুশ ছিলেন । আয় অল্প ও ব্যয বহু হওয়াতে তাঙ্গার আয়-ব্যয়ের সমতা কখনোই ছিল না । তিনি সপরিবারে আশ্রমে ছিলেন, কিন্তু দেনাদার হইয়া পড়িয়া ছিলেন। আশ্রমের অধ্যক্ষমহাশয় পীড়াপীড়ি করাতে তিনি আশ্রম হইতে স্ত্রীপুত্রদিগকে নিজের শ্বশুরবাডি প্রেরণ করা স্থির করিলেন । কিন্তু যাইবার সময় আশ্রমের দেনা দিয়া যাইতে পারিলেন না । তঁহাক্স পত্নী বিনোদিনী পুত্র-কন্যা সহ গাড়ি কারিগা আশ্রম হইতে চলিয়া যাইতেছেন, এমন সময় আশ্রমের অধ্যক্ষমহাশয়ের আদেশ ক্রমে "ভূ","ক্ষ্যরা আসিয়া স্বারে ",াড়ি অবরোধ করিল, দেন শোধ না কবিলে গাড়ি যাইতে দিবে না । বিনোদিনী আপনাকে অপমানি গা বোধ করিয়া কঁদিতে লাগিলেন, এবং আপনার গাত্র হইতে গঙ্গানা খুলিয়া দিলেন। তৎপরে ঠাকদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হইল। হরনাথবাবু উত্তেজিত হইয়া বিমোদিনীর নাম দিয়া এই ঘটনার বিবরণ ‘সাপ্তাহিক সমাচার’ নামক এক ব্রহ্ম বিরোধী সাপ্তাতিক পত্রে প্রকাশ করিলেন । দেশীয় সংবাদপত্র সকল একে চায়, আরো পায়। তাহারা একেবারে আশ্রমের ও কেশববাবুর দলের বিরুদ্ধে ঘোর আন্দোলন তুলিয়া দিল । সময় বুঝিয়া অত্যগ্রসর ৰূলের এক ব্রাহ্মযুবক আশ্রমের প্রতি কটাক্ষা করিয়া এক ঘোর কুৎস্যপূর্ণ পত্র S 8 O