পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DD S DD DBBBSDBBD BuDuD BBD Dt Bu DB BDBDJJ BDBD BD DDBY নাম দুৰ্গামোহন দাস নয়।” ইহার পর শিতিবাবুর সহিত তাহার তর্ক বাধিল । আমি ইতিমধ্যে সরিয়া পড়িয়া একেবারে উপরতলায় ব্রহ্মময়ীর নিকট গেলাম। প্রস্তাবটি বেশ করিয়া তাহাকে বুঝাইয়া দিলাম। তিনি শুনিয়া বলিলেন, “জ্ঞানের চর্চা বাড়ে, সে তো ভালোই। আপনারা কি মেয়েদের পড়বার মতো বই রাখবেন ? অল্প কিছু জমা দিয়ে ভদ্রলোকের মেয়েরা কি ভালো ভালো বাংলা বই নিয়ে পড়তে পারবে ?” আমি বলিলাম, “হ্যা, তা পারবে।” ব্রহ্মময়ী। তবে আমি এককালীন ৫০ টাকা, ও মাসে মাসে ৪৫ টাকা করে দেব। আমি বলিলাম, “তবে এই কাগজে নামটা স্বাক্ষর করে দিন।” এইরূপে একটা কাগজে পূর্বোক্ত প্রতিজ্ঞা লিখিয়া তাহাতে র্তাহার নাম স্বাক্ষর করাইয়া, নিচের তলায় গিয়া দুৰ্গামোহনবাবুর কাছে কাগজখানা ধরিলাম। দুৰ্গা মোহনবাবু ব্রহ্মময়ীর স্বাক্ষরটা দেখিয়া বলিলেন, “ও রাসকেল, এই জন্যে তোমার এত জোর ? তুমি আমার কাছে হেরে বিলেতে আপীল করবে ভেবে এসেছিলে ?”আমনি একটা হাসাহাসি পড়িয়া গেল। দুৰ্গামোহনবাবু উপরে ব্রহ্মময়ীকে বলিলেন, “ওগো তুমি আমাকে না জিজ্ঞেস করে এই হতভাগাদের কোনো কথা কানে নিয়ে না। এই যে শ্রীহস্তে স্বাক্ষর করেছি, এখন আমার টাকা না দিয়ে পার নাই।” ব্রহ্মময়ী বলিলেন, “বেশ তো, ওঁরা তো ভালো কাজ করতে যাচ্ছেন । মেয়েদের ব্যবহারের মতো একটা লাইব্রেরি হয়, সে তো ভালোই ।” ব্রহ্মময়ীর আমার প্রতি ভালোবাসার একটি নিদর্শন মনে আছে। একবার আমার টাকার বড় টানাটানি যাইতেছিল। সেই মাসের শেষ দিকে ছেলেরা প্রসন্নময়ীর চুল বঁধিবার আয়নাখানা ভাঙিয়া ফেলিল। প্রসন্নময়ী এ কথা আর আমাকে জানাইলেন না । ভাবিলেন, মাসের শেষ কয়টা দিন কোন প্রকারে চালাইবেন, পর মাসের প্রথমে আয়না কেনা হইবে । ইতিমধ্যে একদিন ব্রহ্মময়ী অপরাত্ত্বে বাড়িতে বেড়াইতে আসিয়া দেখেন, প্রসন্নময়ী জলের জালার নিকট দাড়াইয়া জলে মুখ দেখিতেছেন ও চুল বাধিতেছেন। ব্রহ্মময়ী দেখিয়া আশ্চর্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও হেমের মা, ও কি ! জলের জালার কাছে কি করছি ?” প্রসন্নময়ী হাসিয়া বলিলেন, “ওগো, আয়নখানা ছেলেরা ভেঙে ফেলেছে। ওঁর বড় টাকার টানাটানি যাচ্ছে, তাই ওঁকে জানাইনি। মাস গেলে কিনব ভেৰে জালাৰু জলে মুখ দেখে বাধাছি।” ব্রহ্মময়ী (হাসিয়া) । ও মা, এ তো কখনো শুনিনি । Nò Agno