পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাকে উদ্ধার করিয়া আমাৱ গৃহে রাখিয়াছে, তাহাও শুনিয়াছে। তাই তাহার শিশু কন্যাটিকে আমার হন্তে দিবার জন্য আমাকে ভাকিয়াছে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার মা ও ভাই আছেন, তাহদের অবস্থা ভালো, তবে কেন তুমি এমন পথে পা দিলে ?” থাকিমণি। কি করে ফিরব, যাবার যে নেই। তাই ভাবি, যার সঙ্গে ভেসেছি তাকেই আশ্রয় করে থাকি। তাই তাকেই আশ্রয় করে আছি। সে বেচারার স্ত্রী আছে, ছেলেপিলে আছে, অল্প আয়, আমার সব খরচ দিয়ে উঠতে পারে না ; আমাকে ঘাড় কষ্টে থাকতে হয়। আমার যা হবার হয়েছে, এখন ভাবি মেয়েটাকে এ পথ স্থাতে কি করে বঁাচাই । শাস্ত্রী মশাই, আপনি লক্ষ্মীমণিকে বঁচিয়েছেন, তাই আপনার চরণে শরণাপন্ন হচ্ছি। আমি। তোমার মেয়ে যে এখনও মাই ছাড়েনি। এত ছোট মেয়ে কি মা ছেড়ে থাকতে পারবে ? থাক:মণি । সে একটা ভাবনার কথা বটে। তবে মনে হয়, একটু ভালোবাসা যত্ন পেলে ক্রমে মাকে ভুলে যাবে। আপনার স্ত্রীর ভালোবাসার গুণে ও বশ হয়ে যাবে । আমি । আচ্ছা, আরও দুই-তিন মাস যাক, মেয়েট মাই ছাড়ক, তখন অমুক ঠিকানায় আমাকে খবর দিও। এই বলিয়া আমরা চলিয়া আসিলাম । হায় । সে আর খবর দিল না । ইহার পরে আমার পীড়া হইয়া, সে বাসা ভাঙিয়া গেল, আমি মুঙ্গেরে। চলিয়া গেলাম। তৎপরে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের কাজে মাতিলাম, থাক:মণি ও তাহার কন্যা স্মৃতি হইতে "সরিয়া পড়িল। হয়তো তাহার মন বদলাইয়া গেল, না হয়। আর আমার উদেশ পাইল না। যে কারণেই হউক, থাক:মণির উদ্দেশ আর পাইলাম না । খ্রীষ্টীয়া যুবতীর মতিভ্রম। দ্বিতীয় ঘটনাটি এই। এই ঘটনায় উল্লিখিত নারীর উদ্দেশ্য অনেক অনুসন্ধানেও কেহ পাইবেন না, তাই ইহা লিপিবদ্ধ করিতেছি। হেয়ার স্কুলে কাজ করিবার সময় একদিন বেড়াইয়া ফিরিয়া আসিয়া দেখি যে, একটি খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বিনী যুবতী একটি পুত্রসন্তানসহ আসিয়া আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছে। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে জানিলাম, তাহার পতি আতি দুবৃত্ত, তিনদিন হইল তাহাকে প্রহার করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছে। সে তিনদিন পুত্রসহ নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া অবশেষে আমার শরণাপন্ন হইয়াছে। লক্ষ্মীমণিকে আশ্রয় দিয়া কিরূপে ব্রক্ষা করিয়াছি, তাহা সে শুনিয়াছে, সেই সাহসে আমার আশ্রয়ে আসিয়াছে। স্ত্রীলোকটি “আমার ভবনে থাকিয়া গেল। আমি পয়ে ভাবিলাম, সে শ্রীষ্টীয় ধর্মাবলম্বিনী, কোনো SCS2