পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধন্য ভাগ্য, হে সুভগা, তব ভবতলে ! যাও দ্রুতে, তরি f C3 ! অদৃশ্য রক্ষার্থে সঙ্গে যাবেন সুন্দরী বঙ্গলক্ষ্মী । যাও, কবি আশীৰ্বাদ করে !* আমি আগেই বলেছি যে ছেলেবেলায় বাবামশায়ের কাছে আমরা অল্প সময়ই থাকতুম। একালে যেমন পিতাপুত্রে অপেক্ষাকৃত স্বাধীনভাবে মেলামেশা দেখি, তখনকার কালে তেমনটি ছিল না, ছোটরা বড়দের অত্যন্ত সমীহ করে চলতো। আমাদের যা কিছু আমোদ আহলাদ মেলামেশা সে পিতার পরিষদবর্গের সহিত, তঁদের কাছেই মন খুলে কথা কবার সুযোগ হ’ত । দেবেন্দ্রসভা দেবেন্দ্রসভায় নানা লোকের সমাগম ছিল, তার মধ্যে কতকজন খাস-দরবারের লোক । আম-দরবারে যে সব লোক যাওয়া আসা করত তাদের কথা পড়বার আবশ্যক নেই। এইমাত্র বলে রাখি যে, এক সময়ে ব্রাহ্মসমাজে যারা ঘন ঘন যাওয়া আসা করতেন তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন সম্ৰান্ত স্বর্ণবণিক শ্রেণীর লোক। এখন আর সে দলের লোক দেখতে পাই না—এমন হ’তে পারে যে, এক্ষণে কাঞ্চন-দেবতার আরাধনায় মগ্ন থেকে তারা আর উচ্চতর সাধনার সময় পান না । যে সকল লোক এক সময়ে দেবেন্দ্রসভার অন্তরঙ্গ ছিলেন। তঁদের দু' চারজনের কথা বল্লেই যথেষ্ট হবে । বৈকুণ্ঠনাথ দত্ত-ছোট মানুষটি কিন্তু তার ব্যবসাবুদ্ধি তীক্ষ ছিল। তার মাথায় কতরকম speculation খেলত কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে কিছুতেই সাফল্যলাভ করতে পারতেন না। আজ চায়ের ব্যবসা, কাল বই, পরশু কাপড়-তার কথা শুনলে মনে হ’ত এবার বুঝি সোনার কাটি হাতে পেয়েছেন—যাতে ছোয়াবেন সোনা ফলবে। BLDLLD S BBLBDD CBBBLBBD YB BDBBDL DDYDDBD DuSDD DDS আর এক ছিলেন রাজা কালীকুমার ; জাতিতে স্বর্ণবণিক, হৃষ্টপুষ্ট, শুচিবাইগ্রস্ত লোক, যিনি সন্দেশ ধুয়ে খেতেন। তিনি পারস্য সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন - তার

  • মাইকেল মধুসুদন দত্ত-চতুর্দশপদী কবিতাবলী।

V9 R