পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কার্য্যে নিযুক্ত হওয়ার বিবরণ আমার পিতার আত্মচরিতে যা লেখা আছে তা 轉 ܚ-8 Rܦ "আমি ১৭৬৫ শকে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রচারের সঙ্কল্প করি। পত্রিকার একজন সম্পাদক নিয়োগ আবশ্যক। সভ্যাদিগের মধ্যে অনেকেরই রচনা পরীক্ষা করিলাম কিন্তু অক্ষরকুমার দত্তের রচনা দেখিয়া আমি তাহাকে মনোনীত করিলাম। তঁহার এই রচনাতে গুণ ও দোষ দুইই প্রত্যক্ষ করিলাম। গুণের কথা এই যে, তাহার রচনা অতিশয় হৃদয়গ্রাহী ও মধুর। আর দোষ এই যে, ইহাতে তিনি জটাজুটমণ্ডিত ভস্মাচ্ছাদিতদেহ তরুতলবাসী সন্ন্যাসীর প্রশংসা করিয়াছিলেন । কিন্তু চিহ্নধারী বহিঃসন্ন্যাস আমার মতবিরুদ্ধ । আমি মনে করিলাম, যদি মতামতের জন্ত নিজে সতর্ক থাকি, তাহা হইলে ইহার দ্বারা অবশ্যই পত্রিকা সম্পাদনা করিতে পারিব। ফলতঃ তাহাই হইল। আমি অধিক বেতন দিয়া অক্ষয়বাবুকে ঐ কার্য্যে নিযুক্ত করিলাম। আমি তাহার ন্যায় লোককে পাইয়া তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় আশানুরূপ উন্নতি করি। অমন রচনার সৌষ্ঠব তৎকালে অতি অল্প লোকেরই দেখিতাম । তখন কেবল কয়েকখানা সংবাদপত্রই ছিল । তাহাতে লোক-হিতকর জ্ঞানগর্ত কোন প্রবন্ধই প্রকাশিত হইত না । বঙ্গদেশে তত্ববোধিনী পত্রিকায় সর্বপ্রথমে সে অভাব পুৱণ করে ।” অক্ষয় বাবুর একটা উচু Standing desk ছিল ঘরের মধ্যে পদচারণা করতেন আর দাড়িয়ে দাড়িয়ে পত্রিকার জন্য প্রবন্ধ লিখতেন-“ব্রহ্মাণ্ড কি প্রকাও Jंप्र्द्र তখনকার কালে অক্ষয়কুমার দত্ত আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এরা বঙ্গভাষার দুই স্তম্ভ ছিলেন। যখন তারা সেই ভাষা গড়ে তুললেন তখন তা সংস্কৃতিবহুল হয়ে দাঁড়াল। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অক্ষয়বাবু “উভয়েই সংস্কৃত ভাষাভিজ্ঞ ও সংস্কৃত ভাষানুৱাগী ছিলেন, সুতরাং তঁরা বাঙ্গালাকে । যে পরিচ্ছদ পর্যালেন তা সংস্কৃতের অলঙ্কারে পরিপূর্ণ হ’ল। অক্ষয়বাবুর লেখার এক নমুনা আরম্ভে দিয়েছি, আর একটি নমুনা এখানে দিচ্ছি, তা হ’তেই এ কথার যাথার্থ্য সপ্রমাণ হবে। সূর্য্যোদয়ের বর্ণনা “অনন্তর বিশ্বালোচন। তিমিরামোচন তরুণ বিভাকর, যাবাকু জন্ম-সদৃশী আশ্চর্য্যময়ী মহীয়সী মূর্ত্তি ধারণপূর্বক, পূর্বদিকস্থিত সুরাগ-রঞ্জিত প্রবাল-মণ্ডিত সুরম্য প্রাসাদ হইতে ক্রমে ক্রমে বহির্গত হইতেছে এবং স্বকীয় সুবর্ণময় রশ্মিজাল বিকীর্ণপূর্বক, VKR