পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঙ্গলময় বিধানে পৃথিবীতে সকলেরই সুখের ভাণ্ডার যথার্থই অসীম অনন্ত অফুরন্ত । লোকে যে এখন বলিতে আরম্ভ করিয়াছে, পৃথিবীতে সুখ নাই, “অনেক দুঃখ আছে হেথা, এ জগৎ যে দুঃখে ভরা”, এ কেবল কুশিক্ষা, কুদৃষ্টান্ত এবং ঈশ্বরপরায়ণ তার অভাবের ফলে বলিতেছে। ঐ যে ইংরাজ কবি বলিয়াছেন Our sweetest songs are those that tell of saddest thought ওটা এখনকার ইউরোপের একটা ঢং ; সুতরাং ইংরাজী ওয়ালা বাঙ্গালীর বড় ভাল লাগে, এবং ইংরাজী ওয়ালা বাঙ্গালীর বাঙ্গালা সাহিত্যে এত প্রবল এবং আদৃত হইতেছে। তা নয়, তা নয় ; এই বুড়ে বয়সেই বাল্যকালের অসীম, নির্ম্মল আনন্দের সাক্ষাৎ পাইয়া আমি জোর করিয়া বলিতেছি। —এ জগৎ সুখে ভরা, মানুষের সুখের পরিমাণ হয় না-ভগবানের দয়া ও কৃপা প্রত্যক্ষ করিতে হইলে বৃদ্ধ বয়সে আমার বর্ণিত প্রণালীতে বাল্যকালকে মূর্ত্তিমান করিয়া বাল্যানন্দ প্রত্যক্ষ করা আবশ্যক। কাজ অতি সহজ। চক্ষু বুজিয়া ধ্যানস্থ হইলে ভগবানেরই নিয়মে অতি সহজে সম্পন্ন হয়। পূজার কথা ভাবিতে ভাবিতে, সন্ধিপূজার ভীষণতা-পূর্ণ আনন্দের কথা মনে উঠিল। গভীর রাত্রে সন্ধিপূজা না হইলে আমাদের মন খারাপ হইত। গভীর রাত্রে হইলে আমাদের আনন্দের সীমা থাকিত না । সন্ধিবলিদান একটা বিষম ব্যাপার। ঠিক মূহুর্ত্তে না হইলে মায়ের পূজা একরকম পণ্ড হয়, গৃহস্থের ঘোর অনিষ্টের সম্ভাবনা ৷ মুহুর্ত্ত-মাহাত্ম্য সকল মহৎ কাজেই আছে ; কিন্তু আমাদের সন্ধিপূজায় যেমন দেখিয়াছি, আর কিছুতেই তেমন দেখি নাই। একটু বলি :- সন্ধিপূজা ও বলিদান আমাদের দুর্গাপূজার সর্বপ্রধান অংশ। আজ রাত্রে সন্ধিপূজা ও বলিদান। সকাল হইতে মেয়ে পুরুষ, পাড়া প্রতিবেশী সকলেরই মুখে কেবল ঐ কথা—সকলেই যেন ভীত সন্ত্রস্ত । সন্ধ্যার সময় তঁাবি বসিল । সেটা কি, বোধ হয়। অনেকে জানেন না । যখন ঘড়ি ছিল না, তখন সন্ধিপূজা ও বলিদানের মুহূর্ত্ত নিরূপণ করিবার জন্য তাবি পাতা হইত। ঘড়ির চলন হইলেও, পুরাতন বুনিয়াদি বাড়ীতে তাবি পাতা হইত। আমাদের বাড়ীতে এখনও পাতা হয় । আমাদের DBD S DDDB DBBDDBD DBDB BBBD BDD SLLBGDBDS qgEBDDLD তাহাদেরই একজন পাতেন। ঠিক সূর্য্যাস্তের সময়, বৈঠকখানায় একটা নূতন ইড়িতে এক হঁড়ি জল বসান হয়। একটী পাতলা তামার বাটীর তলায় এমন একটী ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে যে, বাটীটী হাঁড়ির জলের উপর বসাইয়া দিলে যতক্ষণে জলপূর্ণ হইয়া