পাতা:আত্মচরিত (প্রফুল্লচন্দ্র রায়).djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ टूबण्गज ट्कभिकाण ७"छ कार्भानफेप्लेिकाण Gघ्नाकण-काशग्न ऐ९र्नाख ইউরোপে শিল্প ও বিজ্ঞান পাশাপাশি চলিয়াছে। উভয়েরই এক সঙ্গে উন্নতি হইয়াছে। একে অপরকে সাহায্য করিয়াছে। বস্তুত আগে শিল্পের উম্ভব হইয়াছে, তাহার পরে আসিয়াছে বিজ্ঞান। সাবান তৈয়ারী, কাচ তৈয়ারী, রং এবং খনি হইতে ধাতুর উৎপত্তি বিগত দই হাজার বৎসর ধরিয়া লোকে জানিত। রসায়ন শাসের সঙ্গে ঐ সমস্ত শিপের সম্বন্ধ অবিকৃত হইবার বহপব হইতেই ঐ গলির উম্ভব হইয়াছিল। অবশ্য, বিজ্ঞান শিল্পকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় শিল্পের যে বিরাট উন্নতি হইয়াছে, তাহার সঙ্গে বীক্ষণাগারে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ। বাংলাদেশে নহে; সফল ব্যবসায়ী বা শিল্পপ্রবতক হইতে হইলে যে সাহস, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, কম’কৌশলের প্রয়োজন, বাংলার যবকদের পক্ষে তাহাই সবাগ্রে প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে। কলেজে শিক্ষিত যবেক এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতারই পরিচয় দিয়াছে, তাহার মধ্যে কার্যপরিচালনার শক্তি নাই—বড় জোর সে অন্যের হাতের পতুল বা যন্মদাসরপে কৃতিত্ব দেখাইতে পারে। প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপকরপে প্রবেশ করিয়া এই সব চিন্তা আমার মনকে বিচলিত করিয়াছিল। বাংলার সবার প্রকৃতির যে অজস্র দান ছড়াইয়া আছে, তাহাকে কিরপে শিল্পের উপাদান রাপে ব্যবহার করা যায় ? মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের অনাহারক্লিষ্ট যবকদের মথে অল্প যোগাইবার ব্যবস্থা করা যায় কিরপে ? এই উদ্দেশ্যে লেবর রস বিশ্লেষণ করিয়া সাইটিক আসিড প্রস্তুত করিলাম। কিন্তু কলিকাতার বাজারে লেব এমন প্রচুর পরিমাণে বা সস্তায় পাওয়া ফুর না, যাহতে সাইট্রিক অ্যাসিড বিক্রয় করিয়া লাভ হইতে পারে! সতরাং আঞ্জ এমন সমস্ত দ্রব্য প্রস্তুত করিতে মনস্থ করিলাম যাহা অপেক্ষাকৃত অলপ পরিমাণ উৎপাদন করা যায়—এবং বাজারে সহজে কাটতি হয়। এই ব্যবসায়ে বেশী মলধন লাগিলে চলিবে না এবং আমার অন্য কাজেও ইহাতে ব্যাঘাত হইবে না। কয়েকবার চেষ্টা করিয়া শেষে ভেষজ বা ঔষধ সংক্রান্ত দ্রব্য প্রস্তুত করাই উপযোগী বলিয়া স্থির হইল। কলিকাতার ঔষধের দোকানগুলি আমি পরীক্ষা করিলাম এবং ব্রিটিশ ফামাকোপিয়ার ঔষধগুলি কি পরিমাণ এদেশে আমদানী হয়, তাহাও আমদানিকারকদের নিকট হইতে অনসন্ধান করিয়া জানিলাম। মেসাস বটকৃষ্ণ পাল এণ্ড কোং তখন (বোধহয় এখনও) সব প্রধান ঔষধব্যবসায়ী এবং তাঁহাদের ব্যবসা খাব বিস্তৃত ছিল। এই ফামের প্রাণস্বরপ পরলোকগত ভূতনাথ পাল আমাকে ভরসা দিলেন যে যদি ঠিক জিনিস সরবরাহ করা যায় তবে কারখানা দেখিতে যাইতাম-যথা পালরস ডাই ওয়াকম (পাথ), ম্যাক ইউয়েনস রয়োরী (এডিনবাৰ্গ), ডিসটিলেশন অব শেলস (বাগটিসল্যাণ্ড) ইত্যাদি। কিন্তু আমাদিগকে কোন ফমাসিউটিক্যাল ওয়াকসে (ঔষধ তৈরীর কারখানা) প্রবেশ করিতে দেওয়া হইত না, যদি কোন ব্যবসাঘটিত গুপ্তকথা প্রকাশ হইয়া পড়ে এই আশঙ্কা। প্রথম দটিতে এই ঈর্ষা