পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DRO শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত আমার সঙ্গে রোজ তর্ক ও ঝগড়া চলিত। আমি তাহাকে আস্তিক করিবার চেষ্টা করিতাম, কিন্তু ঝগড়ার ফল এই হইত। যে তিনি আরও দৃঢ়তার সহিত নাস্তিকতা প্রচার করিতেন। তিনি হাসিয়া আমাকে বলিতেন, “স্ট্রীটকে তো চেলা করিয়া লইয়াছ, যত পার ধর্ম্ম তাহাকে ভজাও, আমাকে ছাড় না।” আমি যোগেনকে না পারিয়া মহালক্ষ্মীকেই ভজাইতাম। দুজনে প্রতিদিন ব্রহ্মোপাসনা করিতাম। আমরা তিনটী প্রাণী এমনি “রিফর্ম্মার” হইয়া উঠিয়াছিলাম, ষে, আমরা তিনজনে পরামর্শ করিয়াছিলাম যে আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে আনিয়া পুনরায় তাহার বিবাহ দিব। তখনও আমি বিরাজমোহিনীকে পত্নীভাবে গ্রহণ করি নাই। এই ১৮৬৮ সালে আমি একবার তাঙ্গাকে আনিতে যাই। তখন তিনি ১৪১৫ বৎসরের বালিকা। বোধ হয় আমার পিতা-মাতার পরামর্শ ভিন্ন আনিতে গিয়াছিলাম বুলিয়া তাঙ্গার পাঠাইলেন না। যাহাকে বিবাহ দিব ভাবিতেছি, তাহাকে পত্নীভাবে গ্রহণ করা কীর্ত্তব্য নয় বলিয়া তাহাকে পত্নীভাবে গ্রহণ করিতাম না । তঁহাকে যে আনিয়া মহালক্ষ্মীর কাছে রাখিতে পারিলাম না, এজন্য মঙ্গী झथ श्रेण। যোগেন ও মহালক্ষ্মীর সহিত একত্র বাসকালের আর-একটা ঘটনা উল্লেখযোগ্য। সে ঘটনাটী এই। যোগেনের বিবাহের কিছুদিন পরে আমরা চাপাতলার দিবীর পূর্ববর্তী একটী বাড়ীতে গিয়া প্রতিষ্ঠিত হইলাম। সেখানে বিদ্যাসাগর সপ্তাহে দুই তিন দিন আসিয়া আমাদিগকে দেখিতে লাগিলেন এবং আবশ্যকমত সাহায্য করিতে লাগিলেন। সেই পাড়াতেই পাশের বাড়ীতে একটী ছুতার জাতীয় বিধবা স্ত্রীলোক থাকিত, তার একটা ছয় সাত বৎসর বয়স্ক মেয়ে ছিল, মোেটও বিধবা। তার মা যখন শুনিল ষে আমরা মহালক্ষ্মীর বিধবা