পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

它令8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত কিছু করিতে পারিতাম না। কবিতা পড়িতে ও কবিতা লিখিতে অতিब्रिङ डांगबांगिडाग दणिया क्डूिनि कविडा পড়া বন্ধ করিয়া দিলাম, ফিলজফি ও লজিক পড়িতে আরম্ভ করিলাম। বন্ধুদের সহিত হাসিঠাট্টা ও গল্পগাছা করিতে ভালবাসিতাম, :কিছুদিন মনের কোন মলিয়া দিয়া মৌনব্রত ধরিলাম। এই মনের কানমলাটা তখন অতিরিক্ত মাত্রায় कझिङाब । বলিতে কি, আমার ধর্ম্মজীবনের আরম্ভ হইতে এই ১৮৬৮ সাল পর্য্যন্ত কালকে শ্রেষ্ঠকাল বলিয়া মনে করি। এই সময় যে ভাবে যাপন করিয়াছিলাম, সেজন্য মুক্তিদাতা প্রভু পরমেশ্বরকে মুক্তকণ্ঠে ধন্যবাদ করি। বিনয়, বৈরাগ্য, ব্যাকুলতা, প্রার্থনাপরায়ণতা প্রভৃতি ধর্ম্মজীবনের অনেক উপাদান এ সময়ে আমার অন্তরে বিদ্যমান ছিল। আমার যতদূর স্মরণ হয়, তখন আমার মনের ভাব এইপ্রকার ছিল, যে, আমার ধর্ম্মবুদ্ধিতে থাকিয়া, ঈশ্বর যে পথ দেখাইবেন, তাহাতে চলিতে হুইবে, ক্ষতি লাভ যাহা হয় হউক। সকল বিষয়ে ও সকল কার্য্যে ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা করিতাম, এবং যাহা একবার কর্ত্তব্য বলিয়া নিৰ্দ্ধারণ কিরিতাম, তাহাতে দুৰ্জয় প্রতিজ্ঞার সহিত দণ্ডায়মান হইতাম । ফলাফল ও জীবনমরণ বিচার করিতাম না। ইহার নিদর্শন স্বরূপ দুই একটা ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। প্রথম ঘটনা আমার এল-এ পরীক্ষাতে উর্ত্তীর্ণ হওয়া । ১৮৬৮ সালের প্রথমে আমরা বিধবাবিবাহ দিই। তাহার ফলস্বরূপ কিরূপ নির্য্যাতন ভোগ করিতে হইয়াছিল, তাহা অগ্রে কিঞ্চিৎ বর্ণনা করিয়াছি। বিবাহের কিছুদিন পরেই মহালক্ষ্মীর স্বাস্থ্য ভগ্ন হইতে লাগিল। চাকর পাওয়া যায় না, রাধুনী পাওয়া যায় না, সেই অবস্থাতেই তাহাকে রাঁধিতে হয়। এদিকে যোগেন আত্মীয়-স্বজনের নির্য্যাতনে অস্থির। ঈশান মেডিকেল