পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

for of R অঙ্ক কষা); ইতিহাস ছয়ঘণ্টা, ইংরাজী তিনঘণ্টা, সংস্কৃত একঘণ্টা, লজিক হুইঘণ্টা, সৰ্বমুদ্ধে প্রায় আঠার ঘণ্টা। এইরূপ পড়িতে পড়িতে শরীর ও মন সময় সময় বড় অবসয় হইয়া পড়িত। তখন পড়া ফেলিয়া দিয়া ৰাহিরে যাইতে ইচ্ছা করিত। সেই সময় যোগেন ও মহালক্ষ্মীর মুখ মনে করিয়া মনে দুরন্ত প্রতিজা আসিত। ভাবিতাম, যাহাঁদের প্রধান উৎসাহদাতা হইয়া এই সংগ্রামের মধ্যে ফেলিয়াছি তাহদের সাহায্য করিতে না পারিলে কিরূপে নিশ্চিন্ত থাকিব ? প্রাণ থাক। আর যাক, একবার মরণ-বাচন চেষ্টা করিয়া দেখিতে হইবে। অমনি মনে প্রার্থনার উদয় হইত, “হে ঈশ্বর, এই সংগ্রামে আমার সহায় হও” তখন দিনের মধ্যে বহুবার প্রার্থনা করিতাম। লোকে যেমন শ্রমের মধ্যে বারবার চা খাইয়া সবল হয়, আমি তেমনি বারবার প্রার্থনা করিয়া সবল হইতাম । এইরূপ শ্রম করিতে করিতে যখন আড়াই মাস পরে পরীক্ষার সময় আসিল তখন দেখিলাম, এক নীচের ঘরে আড়াই মাস বন্দ থাকিয়া শুইয়া শুইয়া কোমরে বাত ধরিবার উপক্রম হইয়াছে। পরীক্ষা দিতে যাইবার সময় একটী বালকের কাধে হাত দিয়া পরীক্ষার হলে গেলাম ও পরীক্ষা দিয়া আসিলাম। তখন ডিসেম্বরের শেষে পরীক্ষা হইত। বোধ হয় জানুয়ারীর শেষভাগে পরীক্ষার ফল বাহির হইল। তখন আমরা মহালক্ষ্মীর পীড়া লইয়া ঘোর সংগ্রামের মধ্যে আছি। হঠাৎ Bu D DDD DDBBDD DDD DBD SDBDBB B BBB আমি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পত্র লইয়া ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের শরণাপন্ন হইলাম। তিনি আমাকে পূর্ব হইতেই জানিতেন ও ভালবাসিতেন। আমার ব্যাকুলতা দেখিয়া প্রতিদিন মহালক্ষ্মীকে দেখিতে আসিতে লাগিলেন এবং তঁহার সাধ্যে যতদূর হয় তাহা করিতে বাকি রাখিলেন না। অবশেষে, কয়েকদিনের পর মহালক্ষ্মীর প্রাণ গেল।