পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । আমার হরিনাভিতে বাসকালে, কলিকাতাতে কেশব বাবুর সমাজ মধ্যে নানা আন্দোলন চলিতেছিল। ভবানীপুরে আসিয়া আমি সেই আন্দোলন-স্রোতে পড়িয়া গেলাম। ইহার কোন কোন আন্দোলন আমি কলিকাতাতে থাকিবার সময়েই উঠিয়াছিল। তাহার কিঞ্চিৎ বিবরণ অগ্রে দিয়াছি, আবার বিশেষ রূপে লিখিতেছি। ১৮৭২ সালে অন্নদাচরণ খাস্তগির, দুৰ্গামোহন দাস, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, রজনীনাথ রায় প্রভৃতি কতকগুলি ব্রাহ্ম কেশব বাবুকে বলিলেন, যে, তাহারা তঁহাদের পরিবারস্থ মহিলাদিগকে লইয়া মন্দিরের বাহিরে বসিতে চান। কেবল এ কথা যে বলিলেন তাহা নহে, একটা কিছু স্থির হইতে না হইতে একদিন স্বীয় স্বীয় পত্নী ও কন্যাগণ সহ মন্দিরের বাহিরে সাধারণ উপাসকদিগের মধ্যে গিয়া বসিলেন । এইরূপ কয়েকবার বসিতেই উপাসকমণ্ডলীর অপরাপর সভ্যগণ আন্দোলন উপস্থিত করিলেন। অনেকে এতদূর গেলেন যে, কেশব বাবুকে বলিলেন, তাহা হইলে তাহাদিগকে মন্দিরে আসা ত্যাগ করিতে হয়। ঐ সময়ে একদিন সমাগতা মহিলাদিগকে পর্দার বাহিরে ৰসিতে নিষেধ করা হইল। তাহাতে উন্নতিশীল দল রাগিয়া গেলেন। কেশব বাবু বিপদে পড়িলেন। কিরূপে উভয় পক্ষ রক্ষা হয়। সেই চিন্তাতে প্রবৃত্ত হইলেন। স্ত্রীস্বাধীনতার পক্ষপাতী দল বিলম্ব