পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ R RVS9 জানে। আমার সঙ্গে ওর কি কাজ ?” কিছুই নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারিলাম না, বড়ই আশ্চর্য্যবোধ হইল। আসিয়া আমার বন্ধু কেদারনাথ রায়কে এই বিবরণ বলিলাম। তিনি এক সময়ে এই শ্রেণীর ত্রীলোকদের মধ্যে কাজ করিয়াছিলেন, তিনি বলিলেন, “ও যখন ব্যাকুল হয়ে তােমাকে ডেকেছে, তখন নিশ্চয় কোন বিষয়ে তোমার সাহায্য চায়, চল একবার শিবঠাকুরের গলিতে ওর বাড়ীতে যাই।” এই নিৰ্দ্ধারণ অনুসারে পরবর্তী রবিবার প্রাতে আমরা দুজনে শিবঠাকুরের গলিতে তার বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম। সেই বাড়ীটি এইরূপ স্ত্রীলোকে পরিপূর্ণ। তখন বেলা ৯টা, তথাপি তাহদের অধিকাংশ ঘরে ঘরে পড়িয়া ঘুমাইতেছে। অনেকে উঠিয়াছে, প্রাতঃক্রিয়া সম্পন্ন করিতেছে। এই মেয়েটার নাম থাকমণি। থাকিমণি আমাদিগকে দেখিয়া আশ্চৰ্গান্বিত হইয়া গেল। সে বোধ হয়। স্বপ্নেও ভাবে নাই যে, তাহার নিমন্ত্রণে আমি ঐরূপ স্থানে যাইব । তাহার ভাবে এক আশ্চর্য্য পরিবর্তন দেখিলাম। সে রাস্তাতে আমার সহিত কথা কহিবার সময়, হাসিয়া ঢলিয়া তুমি তুমি করিয়া কথা কহিয়াছিল, কিন্তু সেদিন আর-এক মূর্ত্তি ধরিল। আপনি ও আপনারা বলিয়া কথা আরম্ভ করিল ; এবং অতি গম্ভীর ও অনুতপ্ত ভাবে আপনার জীবনের বিবরণ ব্যক্ত করিতে প্রবৃত্ত হইল । সে সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই ঃ-সে। কলিকাতার সন্নিকটবর্ত্তী কোনও স্থানে এক ভদ্র ব্রাহ্মণ-পরিবারের কন্যা । তাহার মাতা ও ভ্রাতা তখনও জীবিত আছেন ; এবং সে বিপদে পড়িয়া প্রার্থনা করিলে অর্থসাহায্য করিয়া থাকেন। বালক-কালে একজন কুলীন ব্রাহ্মণের সহিত তাহার বিবাহ হয়, তাহার অপর অনেকগুলি স্ত্রী ছিল, সে কখনও পতিগৃহে যায় নাই। কালেভদ্রে কখনও পতিকে দেখিয়াছে এই মাত্র। এইপ্রকার অবস্থায় সে বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, পাড়ার একজন পুরুষ তাহার পশ্চাতে