পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· 경 RRJ আনিয়া আমার শয্যাতে স্থাপন করিয়াছিলেন। তিনমাস সেইরূপ রহিল, অন্তরিত করিতে দিলেন না। আমার পীড়ার উপশম হাইলে তবে তুলিয়া লওয়া হইল। এই পীড়ার সময় আমার জনকজননীর যেমন আশ্চর্য্য সন্তানবাৎসল্য দেখিলাম, তেমনি আমার বিশ্বাসী অনুগত ভূত্য খোদাইয়ের অদ্ভুত প্রভুভক্তির পরিচয় পাইলাম। খোদাইয়ের স্থতি আমার মনে পবিত্র প্রেমের উৎস-স্বরূপ হইয়া রহিয়াছে। আমি তাহাকে আমার “মেজৰীে” নামক উপন্যাসে অমর করিবার চেষ্টা করিয়াছি। ভবানীপুরে হেডমাষ্টারি করিবার সময় খোদাইকে রাখি। তখন হইতে তাহার গুণাবলি দেখিয়া আমার মন তাহার প্রতি আতিশয় অনুরক্ত হয়। আমার প্রতিও তাহার প্রগাঢ় গ্রীতি জন্মে। সে আমার হিতৈষী বন্ধু, ও পরিবার পরিজনের রক্ষক ছিল। আমি তাহার হাতে টাকা, কড়ি ও সংসারের ভার দিয়া नि5िg १ोंकिडोभ। আমার পীড়া হইয়া কর্ম্মস্থান হইতে বিদায় লইয়া অদ্ধবেতনে যখন আসিয়া রোগশয্যায় পড়িলাম, তখন খোদাইয়ের বেতন দেওয়া আমার পক্ষে অসাধ্য হইবে এই ভাবিয়া আমি আনন্দমোহন বসুর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া আমার রোগমুক্তি পর্যন্ত অধিক বেতনে তাহাকে তঁাহার বাড়ীতে রাখিয়া দিলাম। মা যখন আমাকে লইয়া স্বতন্ত্র বাসা করিয়া আছেন, তখন একদিন প্রাতে দেখি খোদাই আসিয়া উপস্থিত। আমি—কি খোদাই, তুমি যে এলে ? খোদাই-আপনার বেমারি বেড়েছে শুনে আমি আর থাকতে পারলাম না, কর্ম্ম ছেড়ে এসেছি। আমি-ভাল কর নি, তোমাকে খেতে দেবে কে ? খোদাই-আপনি ভাববেন না, আমি বেতন চাই না। নারায়ণ