পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N97 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত থাকিবে তাহা যদুমণিকে প্রদত্ত হইবে। এই প্রস্তাবে যদুমণি স্বীকৃত হইয়াছিলেন, কিন্তু পরে তাহার চিত্ত বিচলিত হইয়াছে। আমি বলিলাম, “বিনাষ্ট্যাম্পে হাণ্ডানোটখানা দেওয়া ভাল হয় নাই । যদি হাণ্ডনেট দিলেন, তবে ষ্ট্যাম্প দিয়ে দেওয়াই ভাল ছিল। কিন্তু আপনি এজন্য কেশব বাবুর প্রতি সন্দেহ কবুলেন কেন ? হাণ্ডনেটেরষ্ট বা কি প্রয়োজন ? তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ কি নাই ? তিনি কি মনে করলে আপনার টাকা দিতে পারেন না ? আর আপনি তাকে না বলেই বা ছুটে বাহির হলেন কেন ?” দেখিলান তাঙ্কাকে বুঝাইয়া শান্ত করাই দায়, তাঙ্গার চক্ষুদুটির প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াই মনে হইল, উন্মাদের লক্ষণ । তৎপরে যে ভয়ানক কথা বলিলেন, তাঙ্গা শুনিয়া আর আমার সন্দেহ রহিল না। তিনি বলিলেন, গত কলা বৈকালে ঝি আমার দুধ জাল দিতেছিল, কেশব বাবুর গৃহিণী বিকে বলিলেন, “ঝি তুহ কাজে যা, আমি দুধ জাল দিচ্ছি।” বলিয়া দুধ জাল দিতে বসিলেন । বলুন আমার দুধ জ্বাল দিবার জন্য কেশব বাবুর স্ত্রীর এত গরজ কেন ?” আমি-এ ত খুব ভাল কথা ; এজন্য ত তার প্রতি আপনার কৃতজ্ঞ হওয়াই উচিত । আপনি তঁদের বাড়ীতে থাকেন, তঁরা সন্তানের ন্যায় দেখেন, বির অন্য কাজ আছে, তাকে সরিয়ে ঠাকরুণ। আপনার দুধ জাল দিতে বসলেন, এ ত মায়ের কাজ করলেন, এর ভিতরে আবার কি আছে ? তার ভালবাসার জন্য তাকে ধন্যবাদ করা উচিত। যদুমণি-না, আপনি বুঝলেন না, আমাকে বিষ খাওয়াবার চেষ্টা, তা হলে আর টাকাগুলো দিতে হবে না । আমি-(দুই কানে হাত দিয়া) ছি, ছি, এমন কথা শুনলেও পাপ হয়। আপনি ঐ সাধবী সতী সরলহন্দয়া নারীকে আজও চেনেন নাই। ।