পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত বোতল-ভাঙ্গা কাঁচ লইয়া হাসিতে হাসিতে বলিল, “দেখ ভাই, এই কাচ যদি কেহ চিবাইয়া ভাঙ্গিতে পারে, তবে তাকে এখনি একটাক দি।” আমি বলিলাম, “আচ্ছা দাও, আমি চিবচ্ছি।” এই বলিয়া তার হাত হইতে কঁাচখানা লইয়া চিবাইতে প্রবৃত্ত হইলাম। যেমন দুইপাটী দন্তের মধ্যে কঁচখানা রাখিয়া ভাঙ্গিতে যাইব, অমনি ডানদিকের নীচের ঠোট কাটিয়া দুখানা হইয়া গেল। এই অবস্থায় মাতুলের বাসাতে দৌড়িলাম। বড়ামামা দেখিয়া ভয়ে আকুল হইলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে বলিলাম, যে, একখানা চাকু ছৱী বাহাদুরী করিয়া দাত দিয়া তুলিতে গিয়াছিলাম। ছরিখানা কিয়দুর উঠিয়া সবেগে ঠোঁটের উপর বসিয়া গেল। মামা তাহাই বিশ্বাস করিলেন এবং ডাক্তার ডাকিয়া আমার ঠোট সেলাই করাইয়া দিলেন । আমি তাহার নিকট এই একটা মিথ্যা কথা কহিয়াছিলাম। এখনও স্মরণ হইয়া লজ্জা হইতেছে, কারণ DD DD D DD BBD BDL S DBBB BDBD DB স্মরণ হয় না । আমার সত্যবাদিতার প্রতি তাহার প্রগাঢ় বিশ্বাস ছিল । বলিতে কি আমাকে তিনি কিরূপ বিশ্বাস করিতেন তাহ যখন ভাবি, আমার মন আশ্চর্য্যান্বিত হয়। পাছে তিনি ক্লেশ পান, এই ভয়ে সর্ব্বদা কুসঙ্গ হইতে দূরে থাকিতাম। তিনি দৃঢ়চেতা, কর্ত্তব্যপরায়ণ মানুষ ছিলেন, তামাক পর্য্যন্ত খাইতেন না ; ধীর গম্ভীরভাবে সকল কাজ করিতেন, দিন রাত্রি পাঠে মগ্ন থাকিতেন। তঁহাকে না দেখিলে, তাহার চক্ষের সমক্ষে বন্ধিত না হইলে, আমার মনে যত সাধুভাব জাগিয়াছিল, তাহা জাগিত না। তঁহার নিকট এই মিথ্যা কথা বলিয়া বহুদিন কষ্টভোগ করিয়াছি। মাতুলের কলিকাতার বাসায় থাকিবার কালের আর একটা হাস্যজনক ঘটনা আছে। পূর্বেই বলিয়াছি বালককালে আমার অতিশয় তন্মনস্কতা ছিল। কিরূপে একবার গাছের পাখী দেখিতে দেখিতে