পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) O শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত পড়েছি। আরও কিছুদিন কর্ম্মভোগ বাকি আছে কি না, এখন কেন ঘাৰ ?” বলিয়া খুব হাসিতে লাগিলেন। তার সেই হাসি আমার আজও মনে আছে। কতবার ভাবিয়াছি, এরূপ সুখে দুঃখে প্রসন্ন চিত্ত পাওয়া বড় সৌভাগ্যের বিষয়। কতকগুলি মানুষ এরূপ আছে, যাহদিগকে কিছুতেই বিষয়ে করিতে পারে না। ইহাদের অবস্থা স্মৃহিণীয়। কিয়াৎক্ষণ তিনজনে ঝড় ভোগ করিয়া পরামর্শ করা গেল, যে, অদূরে রাণীরাসমণির কাছারি বাড়ী দেখা যাইতেছে,-সে। গ্রামটা তারই জমিদারী-সেই কাছারিতে গিয়া আশ্রয় লওয়া যাউক । তিনজনে হাত-ধরাধরি করিয়া বাহির হইলাম। কাছারিবাড়ীর নিকটস্থ হইতে না হইতে সমগ্র লাড়ী ভূমিসাৎ হইল। চারিদিকের প্রাচীর। পর্যন্ত ধরাশায়ী হইয়া সমভূমি হইয়া গেল। তখন বাতার প্রকোপ, দুর্দান্ত দৈত্যের বিক্রমের ন্যায় হইয়াছে। চারিদিকে চাহিয়া দেখি, গ্রামের একখানিও গুহ দণ্ডায়মান নাই, সমুদয় সমভূমি হইয়াছে। চারিদিকে চাঙ্গিতে চাহিতে অদূরে একখানি গৃহ তখনও দণ্ডায়মান দৃষ্ট হইল। স্থির করা গেল যে, সেখানে গিয়া আশ্রয় লওয়া যাউক । গিয়া দেখি সেই গ্রামের স্ত্রীলোক বালকবালিকাতে সে ঘর পরিপূর্ণ। ঘরখানি নুতন ছিল বলিয়া তখনও দণ্ডায়মান আছে। সেই গৃহস্বামী অতিবৃদ্ধি, তাহার যুবক পুত্র বৃন্ধ পিতামাতাকে তাড়াতাড়ি খাওয়াইয়া, ঘরের ভিতরে পুরিয়া বীরের ন্যায় কোমর বাধিয়াছে, এবং সেই ঝড়ে ছুটাছুটি করিয়া চারিদিকের স্ত্রীলোক বালকবালিকা সংগ্রহ করিয়া সেই ঘরে পুরিতেছে। আমরা ঘরের নিকটে পৌঁছিয়া দেখি স্ত্রীলোকে ঘর পরিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গের ভদ্রলোকটি ঠেলিয়া ঘরে ঢুকিয়া পড়িলেন, আমাদের দুই বন্ধুর কিরূপ সংকোচ বোধ হইতে লাগিল। আমরা দ্বার হইতে ফিরিয়া পার্থের দাবাতে গিয়া দাড়াইলাম। তৎক্ষণাৎ সে দাবীর চালটা আমা