পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ GRS ( এবং ইংরাজী যাহা কিছু তাহার উপর আদর দেখাইতে লাগিলাম, স্বদেশী ভাবাপন্ন হইয়া আর একজন কবিতাতে তাহার উত্তর দিতে লাগিলেন। সপ্তাহের পর সপ্তাহ কবিতা যুদ্ধ চলিতে লাগিল, চারিদিকে একটা চৰ্চা উঠিয়া গেল। আমার কবিতাতে কাহারও বুঝিতে বাকি থাকিল না যে, আমিও স্বদেশীভাবাপন্ন, কেবল সাহেবীভাবাপন্ন ব্যক্তিদিগকে বিদ্ররূপ করিবার জন্য লেখনী ধারণ করিয়াছি। ঐ সকল কবিতার দুই এক ছত্র মনে আছে। তাহা দেখিলে সকলে হাসিবেন। আমার প্রতিদ্বন্দী কবি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রশংসা করাতে আমি বঙ্গভূমির প্রতি লক্ষ্য করিয়া লিখিয়াছিলাম বিদ্যার সাগর তব মূর্থের প্রধান, টাকিদার ভট্টাচার্য্য নাহি কোন জ্ঞান। ইংরাজ মেয়েদের প্রশংসা করিয়া লিখিলাম ঃ ধবলাঙ্গী তাম্রাকেশী বিড়াল-লোচনা, বিবাহ করিব মুখে ইংরাজ-ললনা । এই সুত্রে প্যারীবাবুর নিকট আমার একটা পসার দাড়াইল । তাহার একটা ফল মনে আছে। ইহা বোধ হয়। ইহার কিছু দিন পরে ঘাঁটিয়া থাকিবে। একবার আমার বন্ধু উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় চট্টগ্রামবাসী প্রেসিডেন্সী কলেজের অন্যতম ছাত্র নবীনচন্দ্র সেনের লিখিত একটী কবিতা অনিয়া আমাকে দেখাইলেন। কবিতাটিী পড়িয়া আমার বড় ভাল লাগিল। আমি উমেশের সঙ্গে নবীনবাবুর বাসাতে গিয়া তাহার সহিত দেখা করিলাম ; এবং সেই কবিতাটী এডুকেশন গেজেটে প্রকাশ করিবার জন্য উৎসাহিত করিলাম। আমার অনুরোধে তিনি কবিতাটি আমার হাতে দিলেন। আমি কাটিয়া কুটিয়া তাহাতে নিজে কিছু যোগ করিয়া প্যারীবাবুর হাতে দিয়া