পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“তোমার বাবকে জিজ্ঞাসা কর না কেন ?” প্রসন্নময়ী ভয়ে ভয়ে বলিলেন, “তাঁকে “তোমার বাবা বড় দশট, তোমাকে তামাশা করেছে।” প্রসন্নময়ী বলিলেন, “না, তামাশা করেননি, সত্যি সত্যি বলেছেন।” আসিলেন। তখন ডারইনের নাতন মত সম্পবন্ধে সমাদয় কথা তাঁহাকে বলিলাম। তিনি প্রসন্নময়ীকে পরে বলিয়াছিলেন, “তোমার বাবকে কিছ জিজ্ঞাসা কোরো না।” भनिन्ना ख्वाधि अठनक शनिम्नाछिठलाभ । এইরুপ একজন মিশনারী মেম গণেশসন্দিরীকে পড়াইতেন। একদিন গণেশসন্দরী সর্বীয় বিধবা মাতাকে ও ভ্রাতৃগণকে কিছ না বলিয়া মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন। পরে তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন যে, মেম যখন তাঁহাকে বলিতেন যে তিনি অনন্ত নরকের ধারে দাঁড়াইয়া আছেন, তখন ভয়ে তাঁহার প্রাণ কাঁপিয়া উঠিত এবং তিনি ত্বরায় যীশর আশ্রয় লইবার জন্য ব্যগ্র হইতেন। যাহা হউক, যে কারণেই হউক, তিনি মিশনারীদিগের আশ্রয়ে পলাইয়া গেলেন। ইহা লইয়া শহরে তুমলি আন্দোলন ও হাইকোটো মোকদ্দমা উপস্থিত হইল। মোকদ্দমায় গণেশসন্দরীর ভ্রাতৃগণ হারিয়া গেলেন। সে বয়ঃপ্রাপতি ও স্বেচ্ছাক্রমে আসিয়াছে বলিয়া স্থির হইল। আন্দোলন ও সংবাদপত্রের গালাগালি চলিতে লাগিল। কেবল সংবাদপত্রের গালাগালি নহে, একদিন হাতাহাতিও হইল। সেদিন পাদরী ভনসাহেব, যাঁহার আশ্রয়ে গণেশসন্দিরী ছিলেন, কলেজ সেকায়ারের কোণে প্রচার করিতে দাঁড়াইয়াছিলেন। কোথা হইতে গণেশসন্দিরীর ভ্রাতা চন্দ্র সদলে বািক যথের ন্যায় আসিয়া পড়িয়া তাঁহাকে আক্রমণ করিল। পাদরীসাহেব ঘাষি ঢিল ঢেলা খাইয়া ধাবিত হইয়া সংস্কৃত কলেজের সম্পমখিস্থিত শ্যামাচরণ দে বিশবাস মহাশয়ের ভবনে আশ্রয় লইয়া নিরাপদ হইলেন। ঐ বাড়ির লোকে আক্রমণকারী যবকদিগকে তাড়া করিল, তাহারা কোন গলি দিয়া কোথায় পলাইল। তখন পাদরীসাহেব বলিলেন, “কি বলিব, পরোহিত, নতুবা আমি তিন ব্যক্তি নিপাত করিতে পারিতাম।” শনিয়া আমরা অনেক হাসিয়াছিলাম। যাহা হউক, সংবাদপত্রের আন্দোলন থামিল বটে, কিন্তু ব্রাহম যােবকগণ গণেশসন্দরীর ভ্রাতৃগণের সহিত পরামর্শ করিয়া তাঁহাকে খািল্টীয়দিগের হস্ত হইতে উদ্ধার করিবার জন্য লাগিল। শোনা গেল, তিনি খান্টীয়গণের নিকট সদখে নাই, আপনার ভ্রম বঝিতে পারিয়াছেন এবং সর্বীয় জননীর নিকট আসিতে চাহিতেছেন। DBeu DD DDDBuu DBBD DDDD BDD DBB BB BDBBBLBBBDBD DD অবস্থাতে উদ্ধারকারী ব্রাহামগণ আসিয়া গণেশসন্দিরীকে স্বীয় পরিবারে লইবার জন্য আমাকে ধরিলেন। আমি তখন নািতন সংসার পাতিয়া ঘরকন্না করিতেছি। আমি বালিকাটির অবস্থার বিষয় চিন্তা করিয়া না” বলিতে পারিলাম না। ভাবিলাম, আমাদের আহারের যদি দ-মঠো জাটে তো তাহারও জটিবে। গণেশসন্দিরী আবার পলাইয়া খন্টীয়দিগের আশ্রয় হইতে আমার ভবনে আসিলেন। আমার বাড়িতে তিনি আমার ভগিনীর ন্যায় হইয়া আমাদের কন্টের অংশ লইয়া কয়েক বৎসর ছিলেন। তৎপরে ঈশবর কৃপায় অতি উপযক্ত ব্যক্তির সহিত (রাধাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামক আমার এক শ্রদ্ধেয় বন্ধর সহিত) বিবাহিত হইয়াছেন। আমি তাঁহার গণেশসন্দিরী নাম তুলিয়া দিয়া তাঁহার অপর নাম SOO