পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিতে লাগিলেন, “ৱাহা দই সত্রী লইয়া একত্র বাস করিবে, ইহা বড়ই খারাপ কথা। বহবিবাহের প্রতিবাদ আমাদের এক প্রধান কাজ। দাই সত্রী লইয়া একত্র থাকিলে uD DBDBBDBB BBD DBBDBB DB S DD DDBBSBDD BD DBDD সত্রী নিয়ে ঘরকন্না করব বলে আনতে যাচ্ছি না। সে বেচারির অপরাধ কি যে, পিতা মাতা গত হওয়ার পরেও তাকে আশ্রয় দিব না ? এ বহবিবাহের অপরাধ তো তার নয়, সে অপরাধ আমার। আমি তাকে এনে লেখাপড়া শিখােব, সে রাজি হলে তার আবার বিয়ে দেব বলে আনতে যাচ্ছি।” এই মতভেদ লইয়া আমি কেশববাবর শরণাপন্ন হইলাম। তিনি বিরাজমোহিনীকে আনিতে পরামর্শ দিয়া বলিলেন, “বাল্য বিবাহের দেশে বহবিবাহে মেয়েদের অপরাধ কি ? একজন যদি দশটি মেয়ে বিবাহ করে ব্রাহ হয়, পরে সে দশজনকে আশ্রয় দিতে বাধ্য। এমন কি, আশ্রয় না দেওয়াতে উক্ত সন্ত্রীলোকদের কেহ যদি বিপথে যায়, তার জন্য সে দায়ী।” পত্নীকে পািনৰিবাহ দেওয়ার প্রস্তাব। আমি কতব্য বোধে ১৮৭২ সালের মধ্যভাগে বিরাজমোহিনীকে আনিতে গেলাম। তাঁহাকে পত্নীভাবে গ্রহণ করিব না, কিন্তু পািনঃপরিণীতা না হওয়া পর্যন্ত রক্ষা ও শিক্ষার বন্দোবস্ত করিব, যত দর মনে হয় এই ভাবেই আনিতে গিয়াছিলাম। আশ্রমে রাখিব ও মহিলা বিদ্যালয়ে ভাঁতি করিয়া দিব। পরে তিনি যদি পােনঃপরিণীতা হইতে না চান, লেখাপড়া শিখিলে কোনো ভালো কাজে বসাইয়া দিব। তিনি সখী হইবেন, ও আত্মরক্ষা করিতে পরিবেনইহা ভাবিয়া মনে মনে আনন্দ হইতে লাগিল। প্রসন্নময়ীকে বঝাইয়া তাঁহাকে আনিতে গেলাম। আনিয়া আশ্রমে প্রসন্নময়ীর সহিত রাখিলাম। বিরাজমোহিনীর বয়স তখন ১৪ । ১৫ বৎসর হইবে। বিরাজমোহিনীকে বলিলাম, “আমি যে এতদিন তোমাকে পত্নীভাবে গ্রহণ করি নাই, তাহার কারণ এই যে, আমার মনে আছে তুমি বড় হইয়া যদি অন্য কাহাকেও বিবাহ করিতে চাও, করিতে দিব। আর যদি লেখা পড়া শিখিয়া কোনো ভালো কাজে আপনাকে দিতে চাও, দিতে পরিবে, এজন্য তোমাকে স্কুলে দিতেছি। তুমি এখন লেখা পড়া কর।” এই বলিয়া তাঁহাকে স্কুলে ভতি করিয়া দিলাম। কিন্তু দিলে কি হয় ? তিনি প্রথম প্রস্তাব শনিয়া চমকিয়া উঠিলেন, “মা গো! মেয়েমানষের আবার কাবার বিয়ে হয়!”। তাঁহার ভাব দেখিয়া, পানবিবাহের প্রতি দারণ ঘণা দেখিয়া, আমার এতদিনের পোষিত মাথার ভূত এক কথাতে নামিয়া গেল। আমি বঝিলাম, দ্বিতীয় প্রস্তাবই কাযে পরিণত করিতে হইবে। দাম্পত্য সঙ্কট। কিন্তু আর একদিক দিয়া আমার আর এক পরীক্ষা উপস্থিত হইল। প্রসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনী যখন এক ভবনে একত্রে বাস করিতে লাগিলেন, অথচ আমি বিরাজমোহিনীকে পত্নীভাবে গ্রহণ করিতে বিরত রহিলাম, তখন প্রসন্নময়ী হইতেও সেই সময়ের জন্য আমার সর্বতন্ত্র থাকা উচিত বোধ হইতে লাগিল। তখন তাঁহার সঙ্গে বহদিনের স্বামী-স্ত্রী সম্প্রবন্ধ রহিয়াছে, তৎপবোঁ হেমলতা, তরঙ্গিণী ও প্রিয়নাথ তিনজন জন্মিয়াছে। কিন্তু আশ্রমে স্কুল-ঘর ও কেশববাবর আপিস-ঘর ভিন্ন অধিক বাহিরের ঘর ছিল না। রাত্রে প্রসন্নময়ীর ঘরে না শাইলে শই কোথায় ? দরে গিয়া থাকা আমার পক্ষে ঘোর সংগ্রামের বিষয় হইয়া দাঁড়াইল। প্রসন্নময়ীর পক্ষেও। তাহা অতীব ক্লেশকর হইল। অবশেষে প্রসন্নময়ীকে বঝাইয়া বিদায় লইয়া SS R