পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ν ভবনে সবদা যাইতাম। ব্রহমময়ী আমার আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন, তিনি আমাকে বড় ভালোবাসিতেন। তাঁহার সেই সরল পবিত্রতা মাখা মািখখানি যেন সমিতিতে জাগিতেছে। প্রসন্নময়ীর ন্যায়, তাঁহারও সন্তানের ক্ষধা যেন নিজ সন্তান BDB DDB DDD DDDD BDB DDB BDDBBBD DDS BBD DBGDD DD *ावान कब्रिाउछिद्धान्। ব্রহমময়ী আমার সব বিধ সদানন্ঠানের উৎসাহদায়িনী ছিলেন। তাহার একটি নিদশন মনে আছে। একবার ভবানীপার ব্রাহামসমাজের অন্যতম সভ্য শিতিকণ্ঠ মল্লিক ও আমি পরামর্শ করিলাম যে ভবানীপরে একটি লাইব্রেরি ও পাঠাগার করিলে ভালো হয়। এই পরামর্শ করিয়া আমরা একদিন দােগামোহনবাবরে নিকট টাকা ভিক্ষা করিতে গেলাম। দােগামোহনবাব, অর্থ সাহায্য করিতে অস্বীকৃত হইলেন, তাহা লইয়া তাঁহার সঙ্গে অনেক বাদবিতািড়া চলিল। আমি বলিলাম, “আপনার নিকট হইতে যদি কিছ টাকা আদায় না করি, তবে আমার নাম শিবনাথ শাস্ত্রী নয়।” তিনি বলিলেন, “আমার নিকট হতে যদি কিছ আদায় করতে পাের, তবে আমার নাম দােগামোহন দাস নয়।” ইহার পর শিতিবাবার সহিত তাঁহার তকী বাধিল । আমি ইতিমধ্যে সরিয়া পড়িয়া একেবারে উপরতলায় ব্রহমময়ীর নিকট গেলাম। চৰ্চা বাড়ে, সে তো ভালোই। আপনারা কি মেয়েদের পড়বার মতো বই রাখবেন ? অলপ কিছ জমা দিয়ে ভদ্রলোকের মেয়েরা কি ভালো ভালো বাংলা বই নিয়ে পড়তে পারবে ?” आर्गश बर्षाव्लब्लाभ, शुौं, ऊा °ान्नटद । ব্রহমময়ী । তবে আমি এককালীন ৫০ টাকা, ও মাসে মাসে ৪১ টাকা করে দেব। আমি বলিলাম, তবে এই কাগজে নামটা সবাক্ষর করে দিন। এইয়াপে একটা কাগজে পাবোেন্ত প্রতিজ্ঞা লিখিয়া তাহাতে তাঁহার নাম সর্বাক্ষর করাইয়া, নিচের তলায় গিয়া দ গামোহনবাবরে কাছে কাগজখানা ধরিলাম। দাগমোহনবাব ব্রহমময়ীর সবাক্ষরটা দেখিয়া বলিলেন, “ও রাসকেল, এই জন্যে তোমার এত জোর ? তুমি আমার কাছে হেরে বিলেত আপীল করবে ভেবে এসেছিলে ?” অমনি একটা হাসােহাসি পড়িয়া গেল। দরগামোহনবাব উপরে ব্রহমময়ীকে বলিলেন, “ওগো তুমি আমাকে না জিজ্ঞেস করে এই হতভাগাদের কোনো কথা কানে নিয়ো না। এই যে শ্রীহসেত সর্বাক্ষর করেছ, এখন আমার টাকা না দিয়ে পার নাই।” ব্রহমময়ী বলিলেন, “বেশ তো, ওঁরা তো ভালো কাজ করতে যাচ্ছেন। মেয়েদের ব্যবহারের মতো একটা লাইব্রেরি হয়, সে তো ভালোই।” ব্রহমময়ীর আমার প্রতি ভালোবাসার একটি নিদশন মনে আছে। একবার আমার টাকার বড় টানাটানি যাইতেছিল। সেই মাসের শেষ দিকে ছেলেরা প্রসন্নময়ীর চুল বধিবার আয়নাখানা ভাঙিয়া ফেলিল। প্রসন্নময়ী এ কথা আর আমাকে জানাইলেন। না। ভাবিলেন মাসের শেষ কয়টা দিন কোনো প্রকারে চালাইবেন, পর মাসের প্রথমে আয়না কেনা হইবে। ইতিমধ্যে একদিন ব্রহমময়ী অপরাহে আমাদের বাড়িতে বেড়াইতে ও চুল বাঁধিতেছেন। ব্রহমময়ী দেখিয়া আশ্চর্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও হেমের মা, ও কি! জলের জালার কাছে কি করছ ?” প্রসন্নময়ী হাসিয়া বলিলেন, “ওগো, আয়নাখানা ছেলেরা ভেঙে ফেলেছে। ওঁর S RS