পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষাদের চিহ্ন কিছই দেখিতাম না। একদিন সে এ কথা সে কথার পর আমাকে বলিল, “আপনি আমার কন্ট নিবারণ করতে পারেন। আমি টাকাকড়ির কন্টের কথা বলছি না, সন্ত্রীলোকের আরও কম্পট আছে, তারি কথা বলছি।” তখন আমার চোখ যেন একটি ফটিল। কয়েকটি প্রশন করিয়াই তাহার মািখ হইতে পরিস্কাররপে এ কথাটা বাহির করা গেল যে, সে আমাকে অবৈধ প্রণয়ের চক্ষে দেখিতেছে। আমি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাহার ঘরের বাহিরে আসিতেই, সে ভীত হইয়াই হউক কি যে কারণেই হউক, “আর একটা কথা আছে” বলিয়া আমার পথ রোধ করিল। আমার প্রথম মনে হইল, গজন করিয়া উঠি এবং জোরে তাহার হাত ছাড়াইয়া যাই। কিন্তু কোলাহল ও লোক-জানাজানি হইলে একটা কলঙ্কের ব্যাপার হইবে, তাহা ইহার পক্ষে ভালো নয়, এই মনে করিয়া তাহা করিলাম না; বলিলাম, “তোমার কাছে বাঙলা বাইবেল マSIび茨?” Cन । उभाCछ । আমি। সেখানা আনো দেখি । সে। তাতে এখন কাজ কি ? আমি। আনো না ? একটা প্রয়োজন আছে। সে অনিচ্ছাক্রমে বাইবেলখানা বাহির করিয়া আমার হাতে দিল। যাঁশ, যেখানে মানসিক পাপাচরণের নিন্দা করিতেছেন, সেই সােথানটা বাহির করিয়া পড়িতে দিলাম। সে কোনো মতেই পড়িবে না, অবশেষে আমি বার বার বলতে পড়িল । আমি। দেখ, তোমরা যাঁহাকে প্রভু মনে কর, তাঁর কি অমল্য উপদেশ ! তুমি এ উপদেশ। কতবার পাইয়াছ, তব কেন তোমার এ প্রবত্তি ? আর তুমি আমাকে এত খারাপ কিরাপে ভাবিলে ? তোমার স্বামী তোমাকে আমার হাতে সপিয়া গিয়াছে। আমি কি এতই ছোটলোক যে বিশবাসঘাতকতা করব ? আমি সেইদিন তাহাকে যেরপে তেজের সহিত উপদেশ দিয়াছিলাম, জীবনে আর কাহাকেও বোধ হয় সেরাপ দিই নাই। তৎপরদিন তাহার পতিকে ডাকাইয়া বলিলাম, “তোমার সন্ত্রীকে নিয়ে যাও, ওকে বাইরে রাখা ভালো নয়।” সে তাহাকে লাইয়া গেল । ইহার পর ঐ নারীকে আর একবার দেখিয়াছিলাম। কয়েক বৎসর পরে শহরের সন্নিকটবতী কোনো পথ দিয়া যাইবার সময় পথের পাশববতী এক বাড়ি হইতে তাহার পত্রটি বাহির হইয়া আসিয়া আমাকে বলিল, “আমরা এই বাড়িতে থাকি ; মা আপনাকে দেখতে পেয়েছেন, একবার দেখা করবার জন্য ডাকছেন।” আমি বাড়িতে প্রবেশ করিলে তাহার মাতা গলবস্ত্রে আমার পদে প্রণত হইয়া, আমার বাড়ির সমাদয় সংবাদ জিজ্ঞাসা করিল। আমি একটি দাঁড়াইয়া তাহদের কুশল সংবাদ লইয়া চলিয়া ऊनिळा । রাজনারায়ণ বস। ক্রমে আমরা ১৮৭৭ সালে উপনীত হইলাম। এই সালের প্রথমে হরিনাভি সমাজের উৎসবে যাই। সেখানে ভক্তিভাজন উমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের গহে। এক পারিবারিক অনন্ঠানে ব্রাহনগণের সমাগম হয়। উক্ত অনন্ঠান ক্ষেত্রে আদি ব্রাহসমাজের সভাপতি সবগীয় রাজনারায়ণ বসা মহাশয়ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাকে বড় সেনহা করিতেন। তাঁহার সরল অকৃত্রিম ভক্তি আমাকে মগধ করিত। তিনি তখন কায হইতে অবসতি হইয়া বৈদ্যনাথ দেওঘরে বাস করিতেছিলেন। আমি n (Wb SR) ՏՓ Գ