পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাকিবার অন্যুরোধ করিয়া এক আবেদন গেল। কেশববাব সে আবেদন গ্রাহ্য করিলেন না, তদনসারে মিটিং ডাকা হইল না। কিন্তু আবেদনকারীদের আবেদনের উল্লেখ না করিয়া তিনি নিজের নামে ২১শে মার্চ এক মিটিং ডাকিলেন। যে বিজ্ঞাপনে তাহা ডাকা হইল। তাহা অদ্ভুত : বাবা কেশবচন্দ্র সেন উইল প্রোপোজ দ্যাট বাব কেশবচন্দ্র সেন বি ডিপোজাড়। এরপ অদ্ভুত বিজ্ঞাপনের মম আমরা কিছর বাঝিতে পারিলাম না। যাহা হউক, যথাসময়ে দলে-দলে আমরা ২১শে মাচের সভাতে উপস্থিত হইলাম। কাযারম্ভেই মহা গোলযোগ উঠিল। সভাপতি হন কে ? কেশববাবার বন্ধ্যরা তাঁহাকে সভাপতি করিতে চাহিলেন; আমরা বলিলাম, “তাহা কিরাপে হয় ? যাঁর কাযের বিচার করিবার জন্য মিটিং, তিনি কিরাপে সভাপতি হন ?” আমরা দরগামোহনবাবকে সভাপতি করিতে চাহিলাম, তাঁহারা রাজি হইলেন না। কে সভাপতি হইবেন, এই বিচার লইয়া অনেকক্ষণ কাটিয়া গেল। শেষে কেশববাব দরগামোহনবাবকে সভাপতি করিতে রাজি হইলেন। কিন্তু এ বিষয়ে ভোট গণনা করিবার সময়, কে সভ্য কে সভ্য নয়, এই বিচার আবার উঠিল। কেশববাবার বন্ধগণ বিরোধী দলের অনেকের সম্পবন্ধে আপত্তি করিতে লাগিলেন। যাহা হউক, অবশেষে কেশববাবার সম্পমতিক্রমে দরগামোহনবাবকে সভাপতি করা হইল। তদনন্তর কেশববাব নিজের পদচ্যুতি সম্পবন্ধে প্রস্তাব উপস্থিত করিতে চাহিলেন। দরগামোহনবাব সভাপতি রপে সে প্রস্তাব উত্থাপনের ভার আমার প্রতি আপণ করিলেন। আমি যেই প্রস্তাব করিতে দাঁড়াইলাম, অমনি কেশববাব সদলে সভা ত্যাগ করিয়া গেলেন। এদিকে সেনবংশীয় বালকগণ ও তাঁহাদূের বালক বন্ধগণ চীৎকার ও গোলমাল করিতে লাগিল। আমরা সেই গোলমালের মধ্যে কয়েকটি নিধারণ (রেজোলিউশন) পাস করিলাম। একটির দ্বারা কেশববাবকে আচায্যের পদ হইতে নামানো হইল, অপরটির দ্বারা কয়েকজন আচাষ নিয়োগ করা হইল । কৌতুককর প্রতিদ্বস্থিতা। এই গেল। ২১শে মার্চ বহিস্পতিবারে। পরবতী রবিবারে (২৪শে মার্চ) সংবাদ আসিল যে কেশববাব মন্দিরের দাবারে চাবি দিয়াছেন, এবং মন্দির রক্ষার জন্য কয়েকজন অনাচরকে তন্মধ্যে স্থাপন করিয়াছেন। এই সংবাদ পাইয়াই দবারকানাথ গাঙ্গালী ভায়া আমার নিকট আসিয়া উপস্থিত, “চলন, আমরাও ব্রহ মন্দিরের দাবারে তালা চাবি দিয়া আসি। মন্দির তো আমাদেরও, কারণ সকলে মিলিয়া টাকা দিয়াছি, কেশববাব একলা কেন বলপবািক অধিকার করবেন?” আমি এ সব বিবাদে থাকিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করাতে আমার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করিয়া, তিনি অপর দইজন বন্ধকে লইয়া তালা চাবি দিতে গেলেন। সেই তালা চাবি দেওয়ার ব্যাপার এক কৌতুককর ঘটনা। আবারকানাথ গাঙ্গলী ও দেবীপ্রসন্ন রায় চৌধরিী তালা চাবি লইয়া গেটে উপস্থিত হইয়া দেখেন, তাহাতে তালা চাবি লাগানো আছে এবং ভিতরে কেশববাবর কয়েকজন অনগত শিষ্য রহিয়াছেন। ইহারা গিয়া গেটের নিকট দাঁড়াইবামাত্র তাঁহারা ছটিয়া অপর দিকে আসিলেন। তাক-বিতক ও বাগবিতণ্ডডা আরম্ভ হইল। ইহারা বলিলেন, “মন্দির তো কেবল আপনাদের নয়, আমাদেরও। আপনারা কেন বলপবেক অধিকার করবেন ? আপনারা ভিতরে চাবি দিয়াছেন, আমরা বাহিরে দিব।” এই বলিয়া বারিবাব ও দেবীপ্রসন্নবাব চাবি দিতে প্রবত্ত হইলেন। কেশববাবার বন্ধগণ ভিতর হইতে বাধা S8 b፥