পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাবাদশ পরিচ্ছেদ ৷ ১৮৭৮ মে-ডিসেম্বর नाक्षाझश इवाद्यानभाछ अऊष्ठा সাধারণ ব্রাহমসমাজের সংশ্রবে। যাহা কিছ: করিয়াছি, তাহাই আমার জীবনের প্রধান কাজ। এখন ভাবিয়া আশ্চযা বোধ হইতেছে, কিরাপে ঈশবর এই ঘণিপাকের মধ্যে আমাকে আনিয়া ফেলিলেন, তাঁহার বাণী আমাকে কিরাপে অধিকার করিল! আমার প্রকৃতি নিহিত দর্বলতা কতবার আমাকে তাঁহার প্রদশিত পথ হইতে ও দরে যাইতে দিলেন না-যেন আমার চুলের টিকি ধরিয়া আমাকে বধিয়া রাখিলেন। এরাপ মহৎ ব্রত ধারণ করিয়াও আমার সখাসন্ত চিত্ত বহদিন সখের প্রলোভন অতিক্রম করিতে পারে নাই; বার-বার আত্মবিসমিতির ও ঈশবরাবিসমিতির মধ্যে পড়িয়া সখের পশ্চাতে ছটিয়াছে। বলিতে কি, এই আন্তরিক সংগ্রামের জন্যই আমার দ্বারা যতটা কাজ হইতে পারিত, তাহা হইতে পারে নাই। আমি বহল বৎসর যেন দই হাত দিয়া ঈশ্ববরের সেবা করিতে পারি নাই। এক হস্ত প্রবল প্রবত্তিকুলের সহিত 'সংগ্রামে আবদ্ধ রাখিতে হইয়াছে এবং অপর হাত দিয়া ঈশ্ববরের সেবা করিয়াছি। ” সময় সময় মনে হইয়াছে, আমার মতো দবােল ব্যক্তির প্রতি প্রধান কায্যের ভার না। থাকিলে সাধারণ ব্রাহমসমাজের পক্ষে ভালো হইত, ইহার প্রতি লোকের আরও শ্রদ্ধা জন্মিত। বাসতবিক, এতদিন পরে যতই চিন্তা করিতেছি ততই মনে হইতেছে যে, যেরপে ‘গরতের কাযে হসন্তাপণ করিয়াছিলাম, তাহার গরত্ন যেন বহদিন হদয়ঙ্গম করিতে পারি নাই, সমচিত দায়িত্বজ্ঞান যেন জাগে নাই। বিবাদ বিসম্পবাদের মধ্যে উৎসাহের সহিত নানা কাজে ছটিয়াছি, ধীর চিত্তে নিজের প্রকৃতির দাবলতা লক্ষ্য কিরিবার ও তদ্যুপরি উঠিবার আয়োজন করিবার সময় পাই নাই। কাজকমে অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে নিবিন্স্ট চিত্তে ধমজীবনের গাঢ়তা ও গভীরতা সাধন করিবার সময় উৎসাহ দান দ্বারা কায করি, কিন্তু ঘটনার পর ঘটনার স্রোতে আমাকে টানিয়া ‘সম্মখে লইয়াছে। ঈশবর আমাকে দরে বা পশ্চাতে যাইতে দেন নাই। সে সকল কথা আর ভাঙিয়া লিখিবার প্রয়োজন নাই। এখন সে সব সংগ্রাম চলিয়া গিয়াছে। যে প্রবত্তি সাপ মধ্যে মধ্যে আমাকে বেস্টন করিয়া শক্তিহীন করিত, ঈশবর তাহাকে হত করিয়া আমাকে মন্তি দিয়াছেন। তিনি “ যাহা করেন তাহাই ভালো। আমাকে যে এতদিন কঠিন সংগ্রামে রাখিয়াছিলেন, তাহাও মঙ্গলের জন্য। যে সকল বলদ পথে চলিতে চলিতে উভয় পাশেবর তৃণ গলম খাইতে চায়, তাহদের মখে চামড়ার ঠলি দিয়া, চাবকের উপর চাবক লাগাইয়া, তাহাদিগকে সোজা পথে চালাইতে হয়, বিধাতা SGS