পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বধমানের গ্রামে দভোগ। ১৮৮৩ সালের একটি স্মরণীয় বিষয়, বর্ধমানের অন্তৰ্গত বড়বেলন নামক গ্রামে প্রচার যাত্রা। এই গ্রামে পণ্যদাপ্রসাদ সরকার নামে একজন অন্যরাগী ব্রাহম বাস করিতেন। তিনি কয়েকজন বন্ধকে তাঁহার গ্রামে গিয়া ২৪শে মে তারিখে ব্লহেন্মাৎসব করিবার জন্য অনরোধ করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে আমিও ছিলাম। আমরা কয়েকজন বন্ধ মিলিয়া যথাসময়ে বড়বেলনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। আমাদের পৌছিতে সন্ধ্যা হইয়া গেল। আমরা গিয়া পণ্যদাপ্রসাদের নিমিত একটি খড়ের ঘরে আশ্রয় লইলাম। পরদিন প্রাতঃকালে উঠিয়া আমি একটি যবককে কি একটা জিনিস ক্রয় করিবার YBDD DDDDLLDB BDD BB DBDD BDDBD DS B BBBLDD BDDBB জিনিসপত্র বিক্রয় করিবে না। আমার কিছল আশচষা বোধ হইল। কারণ ব্রাহমাধ্যম প্রচারের জন্য অনেক বার অনেক নগরে ও গ্রামে গিয়াছি, কিন্তু মানষের' এরপ ভাব কোথাও দেখি নাই। পণ্যদাপ্রসাদ আসিয়া বলিলেন, গ্রামের জমিদারবাব দোকানদারদিগকে কলিকাতা হইতে সমাগত বাবদের জিনিসপত্র যোগাইতে বারণ করিয়াছেন। পণ্যদাপ্রসাদ নিজে দরিদ্র, তথাপি তিনি আমাদিগকে প্রয়োজনীয় যাহা কিছল যোগাইতেন; কিন্তু তাঁহার বাড়ির লোক বিরপ, এবং দোকানীরা তাঁহাকেও कछ मित्व ना। শনিয়া আমার বড় হাসি পাইল। বলিলাম, “এস, উপাসনা তো করি, তারপর দেখা যাক কি দাঁড়ায়।” এই বলিয়া সন্ন্যানাতে আমরা উপাসনাতে বসিলাম । উপাসনালেত উঠিয়া দেখি যে, পাশের ঘরেতে কে আমাদের জন্য জলখাবার, ও রাঁধিবার জন্য চাউল ডাল তরকারি প্রভূতি, ও ভোজন পাত্রের জন্য বড় বড় পদ্মপাত রাখিয়া গিয়াছে। দেখিয়া তো আমাদের বড় আশচযা বোধ হইল। উত্তমরাপে জলযোগ করিলাম। আমাদের একজন সেই পাশের ঘরেই উনন কাটিয়া রন্ধনে প্রবত্ত হইলেন। যথাসময়ে উত্তম আহার করা গেল । বৈকালে আমরা ধামালোচনাতে নিযক্ত আছি, এমন সময় কে আসিয়া সেই পাশের ঘরে আমাদের বৈকালে খাইবার সমন্দিয় আয়োজন রাখিয়া গিয়াছে। পণ্যদাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, কে এইরপে প্রয়োজনীয় বস্তু যোগাইতেছে। তিনি কিছল সন্ধান বলিতে পারিলেন না। বন := 2: করশা। পরদিনও এইরূপ চলিল। আমরা ব্রহেমাৎসব করিলাম; উপাসনা, পাঠ, ধামালোচনাদি সকলি চলিল; কিন্তু গ্রামের এক প্রাণী একবার উকি মারিল না। তৃতীয় দিবস প্রাতে আমি বলিলাম, “গ্রামের এক প্রাণী তো এল না, চল আজ নগর কীতৰ্ননে বাহির হই।” আমরা ৭টার সময় কীতৰ্ননে বাহির হইলাম; দেখি, মধ্যরাত্রে গ্রাম যেমন নিস্তব্ধ থাকে, তেমনি নিস্তব্ধ। যে পথ দিয়া যাই, সে পথের সকল বাড়ির দাবার বন্ধ, জন মানবের দেখা নাই। আমি বলিলাম, “আচ্ছা! করিয়া কীন্তন করা তো; লোকে ঘরের আবার বন্ধ করিয়া আছে তাই থাক, ঈশবিরের দয়ার কথা কানো ঢালিয়া দাও।” খাব উৎসাহে কীতিনি চলিল। পথিমধ্যে এক বীভৎস ব্যাপার উপস্থিত। দেখি, একজন লোক নগনন্দেহ হইয়া তাহার পরিধানের ধতিখানি মাথায় বধিয়াছে, এবং তাহার হােকাটি বাঁশির মতো করিয়া নাচিতে নাচিতে আমাদের দিকে আসিতেছে! আমি বন্ধদিগকে বলিলাম, “ওদিকে চাহিও না, গেয়ে চলে যাও।” কিয়ৎক্ষণ পরে দেখি, সে লোকটি লতাজা পাইয়া কাপড় পরিয়াছে এবং অধোবদনে Shbf