পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাক্তির ; জন্য প্রার্থনা করিতে লাগিলাম। ১৮৮৩ সালের গ্রীষ্মকালে তিনি বায়, পরিবর্তনের জন্য সিমলা শৈলে গমন করিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁহার সবাস্থ্যের সােথায়ী উপকার হইল না। ঐ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলেন। আমরা সংবাদ পাইলাম, তিনি অসস্থি অবস্থাতেই ফিরিয়া আসিয়াছেন। সংবাদ পাইবামাত্র আমি তাঁহাকে দেখিতে গেলাম। আমাকে দেখিয়া তিনি আনন্দিত হইলেন। তাঁহার রোগের বিবরণ সব বলিলেন। পায়ের কাপড় সরাইয়া পা দেখাইয়া বলিলেন, “দেখ, আমার পায়ের গলি কখনও এত সর হয় নাই, এইটাই কুলক্ষণ।” আমি বলিলাম, “ঈশবর করুন, এ যাত্রা। আপনি সারিয়া উঠান।” তাহার পর তিনি যত দিন বাঁচিয়া ছিলেন, আমি মধ্যে-মধ্যে গিয়া দেখিয়া আসিতাম। তাঁহার পত্নীর মািখ যখন দেখিতাম, তখন চক্ষের জল রাখিতে পারিতাম না। কি সখেই ভারত আশ্রমে ছিলাম, আর কি দঃখই পরে ঘটিল, তাহাই মনে হইত। আমরা পরোক্ষভাবে তাঁহার মাতুর অন্যতম কারণ, এই মনে হইয়া সেই দঃখ, ঘনীভূত হইত। পরে শানিলাম যে, চিকিৎসকগণ তাঁহাকে মাংসের যােষ খাওয়াইতেছেন; তাহাতে তাঁহার মাত্রে আলবামেন হইয়া, যকৃতে গ্রাভেল দেখা দিয়াছে। শনিয়া ছটিয়া দেখিতে গেলাম। গিয়া কমল কুটীরে প্রবেশ করিয়াই তাঁহার আতনাদ শানিলাম। রোগীর এরােপ আতনাদ অলপই শনিয়াছি। নিকটে গিয়া দেখি, তিনি যন্ত্রণাতে ছটফট করিতেছেন। শয্যাতে এক পাশে বা স্থির থাকিতে পারিতেছেন না। সে যন্ত্রণা, সে আতনাদ, সে কাতরানি দেখিয়া চক্ষের জল রাখিতে পারিলাম না। ৮ই জানায়ারি প্রাতে তাঁহার আত্মা নিশবার ধাম ত্যাগ করিয়া সবগ ধামে প্রস্থান করল। সে প্রাতে আমি তাঁহার শয্যাপাশে বা উপস্থিত ছিলাম। বৈকালে তাঁহার মািতদেহ লইয়া পাদ,কাহীন পদে সকলের সঙ্গে আমরা অনেকে শমশান ঘাটে গেলাম, এবং অশ্রািজলে ভাসিয়া এ জীবনের অন্যতম গরকে চিন্তানলে আপণ করিয়া আসিলাম । এতদিন ঝগড়া করিতেছিলাম, কিন্তু ব্রহমানন্দ যখন চলিয়া গেলেন, তখন মনটা কিছদিন নিস্তব্ধ গম্ভীর ভাবে কি যেন ভাবিতে লাগিল। কেশবচন্দ্রের সহিত ব্রাহমসমাজ লোক চক্ষে উঠিয়াছিল; তাঁহাতে নিরাশ হইয়া তাঁহার অন্তধ্যানের সঙ্গেসঙ্গে সেই যে পশ্চাতে পড়িল, আর সম্মখে আসিতেছে না। কোথায় তাঁহার জীবনের মহা শক্তি, আর কোথায় আমাদের মতো দিবলৈ অসার মানষের চেন্টা! ১৮৮৪ সালে কেশবচন্দ্রের সবগ্ন্যারোহণ হইল। ১৮৮৮ সালে আমার বিলাত গমন পর্যন্ত এই কালের মধ্যে যে-ষে ঘটনাগলি ঘটিয়াছিল, তাহার সকলগলি সমরণ নাই। দই-একটি যাহা স্মরণ হইতেছে, তাহা লিখিয়া রাখিতেছি। খাসিয়াগে নিজািন বাস। ১৮৮৬ সালের গ্রীস্মকালে আমরা সমাজের চারিজন প্রচারক, অর্থাৎ নবদ্বীপচন্দ্র দাস, রামকুমার বিদ্যারত্ন, শশিভূষণ বাস ও আমি, এই সঙ্কল্প করিলাম যে, আমরা হিমালয় পাহাড়ে কিছদিন নিজনে বাস করিব। তৎসঙ্গে এই সঙ্কলাপ করা হইল যে কাহারও নিকটে সাহায্য ভিক্ষা করা হইবে না। আলোচনার পর স্থির হইল যে আমরা খাসিয়াঙ্গে গিয়া থাকিব। দাজিলিং বহর কোলাহলময়, তত দরে যাওয়া হইবে না। তদনসারে আমরা খাসিয়াঙ্গে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইলাম। একটি রূলি করিয়া তাহাতে যাহার। যাহা দিবার মতো ছিল ফেলিয়া দিলাম। সেই ঝলিটি বন্ধবের নবদ্বীপচন্দ্র দাসের হস্তে রহিল। তিনি আমাদের SROO