পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা ডিব্রুগড় হইতে ফিরিবার পথে শিবসাগর যাই। এখানে যাতায়াতে দাই বিভিন্ন প্রকার বিপদ উপস্থিত হইল। যাইবার সময় সন্টীমার ঘাটে দেখিলাম, শিবসাগরের বন্ধগণ। আমার জন্য হাতি প্রেরণ করিয়াছেন। দই বীরপর ষে হাতিতে আরোহণ করিলাম। হাতির যে মেজাজ আছে, তাহা ইতিপবে দেখিবার ভালো সযোগ হয় নাই। এবারে তাহা দেখিলাম। মাহতের দািব্যবহারেই হউক, আর অন্য কোনো কারণেই হউক, হাতি পথের মধ্যে বড় রাগ করিল; এবং আমাদিগকে লইয়া পথ ছাড়িয়া এক পঙ্করিণীর মধ্যে নামিল। আমাদের পা জলে ডোবে আর কি! হাসিব, কি হ্রস্ত হইব ও লাফাইয়া পড়িব, স্থির করিতে পারি না। শেষে মাহত অনেক সাধ্য সাধনা করিয়া মিন্ট কথা বলিয়া হাতিকে রাস্তাতে তুলিয়া আনিল। আমরা যথাসময়ে গন্তব্য স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম। আসিবার সময় আর এক বিপদ উপস্থিত। মধ্যে কয়েকদিন প্রবল বান্টি হইয়া চারিদিক ভাসিয়া গেল। সংবাদ পাওয়া গেল যে ব্রহমপত্র ভাসিয়া গিয়াছে। কিন্তু কি করা যায়, আমাদের শীঘ্র আসা আবশ্যক। আমরা আমাদের যাত্রার বন্দোবস্ত করিয়া দিবার জন্য সেখানকার বন্ধদিগকে অস্থির করিয়া তুলিলাম। তাঁহারা সেইরাপ ব্যবস্থা করিলেন। যাত্রার দিন প্রাতে দেখিলাম, একটি হাতি আসিলা। মনে মনে ভাবিলাম, এটা বোধ হয় শান্তশিলট, পঙ্করিণীতে নামিবে না। কিন্তু আমরা আহারাদি করিয়া যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইলে দেখা গেল যে, হাতি সেখানে নাই। বনের ভিতর কোথায় প্রবেশ করিয়াছে, খাজিয়া পাওয়া যাইতেছে না। অবশেষে সেখানকার উকিল বন্ধদিগের মধ্যে একজন আমাদিগকে তাঁহার গাড়িখানা দিলেন। যথাসময়ে গাড়িতে উঠিয়া কিয়ন্দর গিয়া দেখি যে কাদা ঠেলিয়া যাওয়া ভার। কাদাতে গাড়ির চাকা বসিয়া যাইতে লাগিল। অবশেষে আবারিবাব নামিয়া গাড়ি DDB DLD DBDBD DBBDS BB BDDD DDD DBB BBD BBD DBBB BBD মাথায় জিনিসপত্র দিয়া ৮ মাইল হাটিয়া সন্টীমার ঘাট পযািলত যাওয়া স্থির করিলাম। কিন্তু নগরের বাহিরে মাঠের ধারে গিয়া দেখিলাম, একখানা শালতি অর্থাৎ শাল কাঠের ডোওগা আছে। চারিদিক জলপালাবিত হওয়াতে সেখানা নগরের পাশে বর্ণ আসিয়াছে। তাহার সঙ্গে ভাড়া স্থির করিয়া দই তিনজনে তাহাতে উঠিলাম। দইদশ হাত যাইতে না যাইতে দেখা গেল যে শালতিখানার সন্থানে সন্থানে গত আছে, কাদা দিয়া তাহা বজাইয়া রাখিয়াছে। আমাদের ভারে কাদাগলি ঠেলিয়া শালতির মধ্যে জল উঠিতে লাগিল। তখন আমরা নামিয়া পড়িলাম, এবং একহাট জল ঠেলিয়া পদব্রজেই সন্টীমারঘাটের অভিমখে চলিলাম। গাঙ্গালীভায়া ডুবিলেন। সে এক কৌতুকের ব্যাপার। গাঙ্গালীভায়া আমার আগেআগে বিশ পচিশ হাত দরে চলিয়াছেন। তাঁহার উৎসাহ দেখে কে! আমি অত চলিয়া উঠিতে পারিতেছি না, কাজেই একটা পিছাইয়া পড়িয়াছি। এইরপে দাইজনে চলিয়াছি, হঠাৎ দীবারিবাব ডুবিয়া গেলেন! তখন ভারবাহক মটের মাখে শানিলাম, সেখানে একটা খাল ও তদ্যুপরি এক পল ছিল, ব্রহপত্রের জল বন্ধি হইয়া খাল ভাসিয়া পল বোধ হয়। ভাঙিয়া গিয়াছে। আমি ব্যস্তসমস্ত হইয়া অগ্রসর হইয়া দেখি, দুবারিবাব কিছ: দরে মাথা জাগাইয়া একবার উঠিয়া, আবার “আমি গোলাম” বলিয়া ডুবিলেন। সেবার আমি নিরাশ হইলাম, ভাবিলাম খালের স্রোতে তাঁহাকে ভাসাইয়া লইয়া গেল। সৌভাগ্য ব্রুমে দেখি কিয়ন্দরে তিনি আবার মাথা জাগাইয়া হাত দিয়া যেন কি RO9