পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংলন্ডের সাধারণ প্রজাবগের দোষ গণ্য। মন্দটাই আগে বলিয়া ফেলি। পৌছবার পরদিনই বাড়ি দেখিতে বাহির হইয়াছি। একজন বাঙালী যােবক (কে ভালো মনে নাই) আমার সঙ্গে আছে। আমি আগে আগে যাইতেছি, সে ব্যক্তি পশ্চাতে আছে। সে পশ্চাৎ হইতে হঠাৎ চীৎকার করিয়া উঠিল, “মশাই, মশাই’, সরে দাঁড়ান, আপনাকে ধরল!” আমি পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখি যে, একটা মাতাল সন্ত্রীলোক আমার গলার কাপড় ধরিতে আসিতেছে ; বলিতেছে, “হিয়ার ইজ মাই ম্যান।” অপর একটি সন্ত্রীলোক তাহাকে টানিয়া অপরদিকে লইবার চেন্টা করিতেছে। তাহারা সরিয়া গেলেই আমি বাঙালী যবকটিকে বলিলাম, “এ কোথায় এলাম হে ? এ কি দশ্য!” সে বলিল, “কিছদিন থাকুন, আরও অনেক দশ্য দেখিবেন।” বাস্তবিক তাহাই হইল। পানাসক্তির আরও অনেক দশ্য চক্ষে পড়িতে লাগিল। সন্ত্রীলোক মাতাল হইয়া অসামাল হইয়াছে, পলিস ধরিয়া লইয়া যাইতেছে, এরপ দশ্যও দেখিলাম। দেখিতাম, সেখানকার খারাপ মেয়েরা বড় সাহসী, রাস্তা হইতে পরিষদিগকে ধরিয়া পাকড়িয়া লইয়া যায়। আমরা ইংলন্ডে পৌছবার কিছদিন পবে নাকি এক আইন বিধিবদ্ধ হইয়াছিল যে, যে-মেয়ে রাসােতা ঘাটে অপরিচিত পরিষকে বিরক্ত করিবে, সে পরিষ সে কথা পলিসের গোচর করিলেই সে মেয়েকে গ্রেপতার করিবে: ও আইনানসারে তাহার দন্ড হইবে। কিন্তু বিদেশের কালা মানষ দেখিলে বোধ হয় তাহারা মনে করিত যে ইহারা আমাদের এ আইন জানে না; কারণ, দেখিতাম কালা মানষেকে বিরক্ত করিতে ভয় পাইত না। একদিন আমি একটি অধিক রাত্রিতে বাড়িতে আসিতেছি। পাড়ার নিকটে গলির মোড়ে একটি মেয়ে আমাকে গড ইভনিং করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কেমন আছি। আমি যথারীতি বলিলাম, ‘কোয়াইট ওয়েল, থ্যাঙ্ক ইউ।” মনে করিলাম, দোকানে পোসন্ট অ্যাপীসে কত মেয়ের সঙ্গে কথা হয়, তাহাদের মধ্যে কেহ হইবে। তাহার পর দেখি তাহা নহে। মেয়েটা বলিল, “ডু ইউ ওয়ান্ট এ সাইটহার্ট ?” বলিয়াই একেবারে আমার বাহ তাহার কুক্ষিতলে পরিয়া লইয়া আমার সঙ্গে-সঙ্গে আসিতে লাগিল। আমি ঘণায় হাত বাহির করিয়া লইয়া বলিলাম, “তুমি থাক কোথায় ? রাত্রে এখানে বেড়াইতেছ। কেন ?” তাহার উত্তরে সে যাহা বলিল ও করিল, তাহা সমরণ করিতে লজা হয়। আমি ত্বরায় তাহার হাত ছাড়াইয়া চলিয়া আসিলাম, কিন্তু তথাপি সে ক্ষণকাল সঙ্গে-সঙ্গে আসিল। অপরিচিত পরিষের প্রতি সন্ত্রীলোকের এত দীর সাহস কখনো দেখি নাই। ভাবিতে লাগিলাম, আমাদের দেশের যাবকেরা এখানে আসিয়া কি বিপদের মধ্যেই বাস করে! অধিক রাত্রে লন্ডনের রাস্তা যে কি এক মাতি ধরে! যাকে দেখি সেই নেশাতে টং। রাত্রি ১১টার পর যদি কোনো দর স্থান হইতে রেলগাড়িতে বাড়িতে আসিতে হইত, দেখিতে পাইতাম, সেন্টশনে যে টিকিট বিক্রয় করিতেছে সে নেশাতে চুর; সেন্টশনের যে লোক (পোর্টার) গাড়ির দরজা খলিতে আসিল সে মাতাল, ভালো করিয়া যেন দাঁড়াইতে পারিতেছে না; যারা একসঙ্গে এক কামরাতে আসিয়া বসিল, তাহারা পরষ মেয়ে নেশাতে চুর। নামিয়া ট্রামে বসিলাম, আরোহীদের মধ্যে কে কাহার গায়ে ঢলিয়া পড়ে। যাহার সঙ্গে কথা কহি, তাহার মখেই মদের গন্ধ। BBDBDDS DBDB BBD DDBBBS BB DBDD DDDD DDD BB BBB DDD D DDBDS তাহা হইলে আরও কত কাজ করিতে পারিত ! চারিদিকেই ইংরাজ জাতির পানাসক্তির নিদর্শন প্রাপ্ত হইতাম। কোথাও পথের পাশে বা দেখি, পবিতাকার আমাদের দেশের ধান্যের সন্তােপ রহিয়াছে। দাঁড়াইয়া কারণ SS O D