পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবণ্টনার উদ্দেশ্যে বলিলেও তাহা বঝিতে পারে না; পরে প্রবণগুনা প্রকাশ পাইলে ভয়ানক রাগে, এবং উত্তমরূপে প্রহার করে। পড়িয়াছিলাম। সেটি এই। গডনি বড় দয়াল মানষ ছিলেন। একবার একজন প্রবণ্ডক লোক দরিদ্র সাজিয়া এক গলপ সাজাইয়া আসিয়া তাঁহার নিকট ভিক্ষা চাহিল। তাহাকে দেখিয়া ও তাহার দঃখের বিবরণ শনিয়া গডনের দয়া হইল। তিনি তাহাকে প্রচুর রাপে দান করিলেন, যেন সে ত্বরায় তাহার বাণিত কন্ট হইতে উদ্ধার পাইতে পারে। দইদিন পরে গর্ডন শনিলেন যে, সেই ব্যক্তি পাঁচ ছয় মাইল দরবতী অপর কোনো পন্থানে আর এক গলপ বলিয়া ভিক্ষা করিতেছে। ইহাতে তাঁহার এত ক্রোধ হইল যে তিনি চাবক হাতে পাঁচ ছয় মাইল হটিয়া তাহাকে মারিতে গেলেন। সেখানে গিয়া তাহাকে খাজিয়া বাহির করিয়া প্রহার করিলেন, অথচ নিজে ষে টাকাগলি দিয়াছিলেন, তাহা ফেরত লাইতে মনে থাকিল না। এই ব্যাপারে গডন ব্রিটিশ জাতীয় চরিত্রের লক্ষণই প্রকাশ করিয়াছিলেন। ইংরাজেয় কত ব্যজ্ঞান। সাধারণ প্রজাদের মোটামটি সত্যপ্রিয়তার ও কতব্যপরায়ণতার কয়েকটি দন্টান্ত সমরণ আছে। একবার মিস ম্যানিং আমাকে ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান হইতেছি, আমার বাড়িওয়ালী বলিলেন, “তোমার প্যাণ্টালীন পাটিতে যাইবার উপযক্ত নয়, তুমি একটা নািতন কোট ও নাতন প্যান্টালন করাইয়া লও।” আমি। আর সাতদিন পরে পার্টি, এর মধ্যে কি প্যান্টালান ও কোট করা যাইবে ? বাড়িওয়ালী। রসো, আমি একটা দরজীকে ডাকাছি, সে বোধ হয় করে দিতে পারবে । যথাসময়ে একজন দরজী আসিল, সে আমার মাপা লইয়া গেল, এবং যথাসময়ে জিনিস দটাে দিবে বলিয়া গেল। দদিন পরে তাহার স্ত্রী কাটা কাপড়গিলা লইয়া উপস্থিত; বলিল, “আপনার কাজের ভার লওয়ার পর, আমার স্বামীর সকটল্যান্ড হতে একটা বড় কাজের ডাক এসেছে। অনেক দিন হতে এই ডাকের কথা বলছিল, এখন তাকে যেতেই হবে। আমরা কাপড় কেটেছি, কিছল সেলাই করেছি; আপনি আর কোনো দরজীকে ডাকিয়ে অবশিস্ট করে নিন।” তাহারা যে কাপড় কাটিয়াছিল ও কিছ, সেলাই করিয়াছিল, তাহার দাম লইতে চাহিল না। আমি মনে মনে ভাবিলাম, পাছে আমার অসবিধা হয়, সেদিকে এদের এত দস্টি। আমাদের দেশে শ্রমজীবীদের মধ্যে এটা দেখা যায় না। আর একটি ঘটনা এই। আমি দেশে ফিরিবার সময় বাড়িওয়ালী একদিন একজন লোককে ডাকিলেন, সে আমার পস্তক প্রভৃতি আনিবার জন্য একটি প্যাকিং কেস করিয়া দিবে। প্যাকিং বাক্সটি টিন দিয়া এমন করিয়া মাড়িতে হইবে যেন জাহাজে তাহাতে জল প্রবিভ্রাট হইতে না পারে। মানষটাকে ঠিক আমার মনের কথাগালো বাঝাইতে দেরি হইতে লাগিল। হাঁ করিয়া আমার মাখের দিকে চাহিয়া থাকে, কিছ বলে না। আমি তাহার মািখ দেখিলেই বঝিতে পারি যে, ঠিক আমার মনের ভাবটা ধরিবার চেন্টা করিতেছে। যখন বঝিল, তখন ঠিক সেইরাপ করিয়া দিবে বলিয়া ভার লইয়া গেল। কথা রহিল যে, তৎপর দিন ১২টার মধ্যে বাক্সটি আনিবে, আমরা আহারান্তে প্যাকিং আরম্ভ করিব। তৎপর দিন প্রাতে আহার করিতেছি, ঘড়িতে &S8