পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৬

যে, প্রতি রবিবার প্রাতে একটি ভবনে তাঁহারা শ্রমজীবী দিগকে একত্র করিয়া ধমোপদেশ দিবেন। আমাকে একদিন দেখিবার জন্য ডাকিয়াছিলেন। আমি গিয়া তাঁহাদের যে কাষপ্রণালী দেখিলাম, তাহা এই। প্রায় শতাধিক শ্রমজীবী একত্র হইয়াছে। প্রথমে একটি বড় ঘরে তাহাদিগকে লইয়া আধঘণ্টা কাল উপাসনা করা হইল। তাহার পর তাহাদিগকে আর একটি ঘরে আনিয়া আধঘণ্টা কাল দই প্রকার কাজ চলিল। প্রথম, ব্যাঙ্কের কাজ আরম্পভ হইল। শ্রমজীবীগণ সপতাহের মধ্যে যে যাহা সঞ্চয় করিয়াছে তাহা জমা দিতে লাগিল। দ্বিতীয়ত, অপর দিকে অনেকে লিখিবার খাতা খালিয়া এ বি সি ডি লিখিতে বসিয়া গেল, এবং যাহা লিখিয়া আনিয়াছে তাহা শিক্ষকদিগকে দেখাইতে লাগিল। আমি দেখিলাম, ৩০ । ৩৫ বৎসর বয়সের বড়া মন্দেরাও এ বি সি ডি লিখিয়া দেখাইতেছে। তৎপরে ধম্যোপদেশের জন্য চারি-পাঁচ ঘরে ক্লাস বসিলা। এক-এক ক্লাসে এক-একজন ভদ্রলোক শিক্ষকের আসন অধিকার করিয়া উচ্চ আসনে বসিলেন। আমাকে তাহার এক ঘরে উচ্চ আসনে শিক্ষকের পাশে বসাইয়া দিলেন। তৎপরে যেভাবে কায আরম্ভ হইল, তাহা এই। শিক্ষক বলিলেন, “গত রবিবার অমক ব্যক্তিকে বাইবেলের অমক-অমক স্থান পড়িয়া আসিবার জন্য অনরোধ করা হয়েছিল। তিনি যদি উপস্থিত থাকেন, উঠে দাঁড়ান, এবং সেই স্থান পড়ে কি উপদেশ পেয়েছেন বলেন।” অতঃপর সমবেত- শ্রমজীবীদের মধ্যে একজন উঠিয়া দাঁড়াইল, এবং বাইবেলের কোন কোন সথান পড়িয়া কি উপদেশ পাইয়াছে বলিতে প্রবত্ত হইল। বক্তার আধ্যাত্মিক দন্টি ও ভাবগ্রাহিতা দেখিয়া আমার আশচযা বোধ হইতে লাগিল। শিক্ষক আমাকে কিছ: বলিতে অনরোধ করিলেন, আমি কিছ বলিলাম না; কিন্তু অপর কয়েকজনে কিছ কিছ বলিলেন। অবশেষে শিক্ষক তাঁহার উপদেশ দিয়া উপসংহার করিলেন। এইরপে একঘণ্টা কাল কাটিয়া গেল। যাহা দেখিলাম ও শানিলাম, তাহাতে আপনাকে উপকৃত বোধ করিলাম। ইংলন্ডের মাত্তি ফৌজ। আমি ইংল্যান্ড বাস কালে মাক্তি ফৌজের (স্যালভেশন আমি) কাজ-কম বিশেষ ভাবে দেখিতাম, তাঁহাদের সভা-সমিতির সংবাদ পাইলেই উপস্থিত থাকিবার চেন্টা করিতাম। একবার ‘আলেগ জান্ড্রা প্যালেস’ নামক কাচ মন্দিরে তাঁহারা এক বিরাট সভা করিলেন। তখন সভ্যগণের, বিশেষত জেনারেল বাথের পত্র-কন্যাগণের, যে উৎসাহ দেখিয়াছিলাম, তাহার বণনা হয় না। আমি উক্ত প্রাসাদে পদাপািণ করিবামাত্র মেয়ের পর মেয়ে আসিয়া আমাকে আক্রমণ করিতে লাগিল। “আপনি DD BDBDBBDDD S DBBD D BBDB S BB DDD SHDS DBDD BBD DBB S অমনি চীৎকার, তাক-বিতক উপস্থিত হয়। একটি মেয়ের হাত ছাড়াইলে আর একটির হাতে পড়ি। মন্তি ফৌজের কাযে সন্ত্রীলোকদিগেরই বিশেষ উৎসাহ দেখিলাম। শানিলাম, জেনারেল বাথের পত্রিবধ, ব্রামওয়েল বাথের পত্নী, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর লন্ডনের রাস্তায় ঘোরেন, এবং বারাঙ্গনাদিগের সহিত তৰ্ক-বিতক করিয়া তাহাদিগকে বিপথ হইতে নিবত্ত করিবার চেন্টা করেন। একদিন আমি ইহাদের প্রধান কমােসখান দেখিবার জন্য ইচ্ছক হইয়া জেনারেল বথের বাস ভবনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। তখন মিসেস বাথ বোধ হয়। অসম্পথ ছিলেন। জেনারেল বাথ আসিতে পারিলেন না। তাঁহার পত্র ব্রামওয়েল বােথ আমাকে লইয়া তাঁহাদের সাধন গহ দেখাইতে লাগিলেন। আমি যেদিকেই চাই, সেইদিকেই দেখি, প্রাচীরের গায়ে লেখা আছে, “যীশ তোমাদিগকে ডাকিতেছেন,” “যীশর চরণে R R R *