পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিন আহারের পর সে বাড়ির মেয়েরা আমাকে এক খেলা দেখাইলেন। একটি মেয়ে আমাকে পাশের একঘরে লইয়া গিয়া রমাল দিয়া আমার দই চক্ষ বধিলেন। বধিয়া বলিলেন, “তোমাকে বৈঠকঘরে নিয়ে যাচ্ছি, সেখানে দাঁড় করিয়ে দেব। নিজে একটা কিছ ইচ্ছা রাখবে না, চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে; তার পর চলতে ইচ্ছা হলে চলবে, কিছু করতে ইচ্ছা হলে করবে, তাতে বাধা দিবে না। আমি তোমার পশ্চাতে দাঁড়িয়ে কাঁধে হাত দিয়ে থাকব। মাত্র। এই বলিয়া মেয়েটি আমার চক্ষে কাপড় বধিয়া আমাকে বৈঠকঘরে আনিয়া দাঁড় করাইয়া দিল, এবং নিজে আমার পশ্চাতে দাঁড়াইয়া কাঁধে হাত দিয়া রহিল। আমি যথাসাধ্য মনটা নিস্ক্রিয় করিয়া রাখিলাম। ক্রমে চলিতে ইচ্ছা হইল, সেই চোখবাঁধা অবস্থাতেই অগ্রসর হইলাম ; হাত বাড়াইতে ইচ্ছা হইল, হাত বাড়াইলাম; একটা চেয়ারের উপর হইতে একখানা কাপড় তুলিতে ইচ্ছা হইল, তুলিলাম; অমনি চারিদিকে করতালি ধৰনি উঠিল। তাড়াতাড়ি চক্ষের বাঁধন খলিয়া শনি, সেই গাহস্থিত পােরষি ও নারীগণ স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন যে চোখ-বাঁধা মানষেটি আসিলে তাহা দেবারা ঐ কাপড়টি তুলাইতে হইবে, এবং আমি ঘরের ভিতর আসিয়া দাঁড়াইলে সেই প্রকার ইচ্ছা করিতেছিলেন। অবশ্য যে মেয়েটি আমার পশ্চাতে ছিল, সেও ঐ বিষয় জানিত এবং সেও সেই প্রকার ইচ্ছা করিতেছিল। আমি যে বিষয়ে কিছুই জানিতাম না সেরাপ কাজ আমা দবারা হইল, ইহা দেখিয়া আমি আশচযান্বিত হইয়া গেলাম। সেন্টড ও তাঁহার পত্নীর নিকট যখন এই কথা ব্যক্ত করিলাম, তখন সেন্টড হাসিয়া বলিলেন, “তাও নাকি হয়! আমাকে কিছ জানতে দেবে না, আর আমার দুবারা কাজ করিয়ে নেবে, ইহা আমি বিশ্ববাস করি না।” আমি বলিলাম, “এসো, আমি করে দেখাই ।” তৎপরে পাশের ঘর হইতে সেন্টড সাহেবের চোখ বধিয়া আনা হইল। আমি কাঁধে হাত দিয়া পশ্চাতে দাঁড়াইলাম, কিন্তু তাঁহার দ্বারা যে কাজ করাইব স্থির ছিল, তাহাতে কৃতকায হওয়া গেল না। আমি বলিলাম, “তুমি মনটা নিগেটিভ করিয়া রাখিতে পার নাই, আমার ইচ্ছাকে বাধা দিয়ােছ।” তাহার পর তাঁহার ঘরের এক কোণে একটা টপিতে একটা পয়সা রাখিয়া, মিসেস সেন্টডের চোখ বধিয়া আনিলেন। আমি তাঁহার পিঠে হাত দিয়া পশচাতে দাঁড়াইলাম। তিনি বরাবর ঘরের কোণে গেলেন, অবনত হইয়া টপির মধ্যে হাত দিলেন, কিন্তু পয়সাটি তুলিলেন না। এতটা দেখিয়া সেন্টড কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইলেন। তাহার পর তাঁহার এক কন্যার চোখ বধিয়া আনা হইল। এবার স্থির হইল, সে নিদি ভ্রাট একটি জিনিস লইয়া তাহার সবকনিষ্ঠ ভ্রাতার হস্তে অপণ করিবে। সে আসিয়া দাঁড়াইলে আমি তাহার কাঁধে। হাত দিয়া তাহার পশ্চাতে দাঁড়াইলাম। কিয়ৎক্ষণ পরেই সে চলিতে আরম্ভ করিল। এবং সেই জিনিসটি তুলিয়া লইয়া চোখ-বাঁধা অবস্থাতেই নিজ কনিষ্ঠ ভ্রাতার দিকে চলিল। তখন পিতা মাতা ভাই বোন, সকলে মিলিয়া ছোট ছেলেটির হাতের পাশে হাত পাতিলেন। চোখ-বাঁধা মেয়েটি একে-একে সকলের হাত ছাইয়া পরিত্যাগ করিয়া অবশেষে ছোট ভাইটির হাতেই জিনিসটি দিল। তখন সেটড আশচযান্বিত হইয়া বলিতে লাগিলেন, “তবে তো ইহার ভিতর কিছ আছে। এক মনের শক্তির দ্বারা যদি আর এক মনের ও শরীরের উপরে এরপ কাজ করা যায়, তবে কেন পরলোকগীত আত্মারা এ জগতের মানষের উপর কাজ করবে না ?” আমি বলিলাম, “তাই তো BS BDBuBD LDB DBDD BD S uBBB BB DDD BBB uDDD DDBBD DDDD পরে শনি, সেন্টড প্রেততত্ত্ব সম্পবন্ধে অনেক কথা ব্যক্ত করিতেছেন। তাঁহার প্রকাশিত RRN