পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DD BBBLLDB BB D BBB BDB BDD BDS gD DBDDD D K DBD BDDD BDDS চলিলাম। সে আমাকে পড়িতে দেয় না, বলিল, “আমিও পড়িতে পারি।” আমি বলিলাম, “আচ্ছা পড়া।” তখন সে জোরে জোরে ক খ গ ঘ করিয়া পড়িয়া চলিল। অবশেষে আমি তাহাকে সব নিম্পন্ন শ্রেণীতে (তাহার ক্লাসে) লইয়া গেলাম । গিয়া পশ্চিডত মহাশয়কে বলিলাম, “দেখান, আপনি বলছিলেন ও “পড়’ বললেই কাঁদে, কিন্তু আমার কাছে তো বেশ পড়িল।” চাহিয়া দেখি, পন্ডিত মহাশয়ের পাশেব একগাছি চেন্টাল বাঁকারি রহিয়াছে; কোনো ছেলে না পড়িলে বা অবাধ্য হইলে তাহার পন্ঠে, বা তাহাকে চিত করিয়া শোয়াইয়া তাহার পেটে, ঐ বাঁকারি পড়ে। আমি বলিলাম, “ও বাঁকারি দেখলে ওর বাবা হয়তো কাঁদে, ও তো কাঁদবেই। ও বাঁকারি আপনাকে ফেলে দিতে হবে।” তিনি বলিলেন, “তা হলে আর পড়াশোনা হবে না।” আমি বলিলাম, “আচ্ছা দেখান, আপনার সম্পম খেই আমি পড়াই।” এই বলিয়া স্কুলের চাকরকে বলিলাম, “একটা বড় মাদর পেতে দে, আমাদের একটা খেলা হবে।” অমনি ক্লাসশদ্ধ ছেলে আমাকে ঘেরিয়া ফেলিল, “দেখান, কি খেলা হবে ?” আমি। রোসো না, দেখবে এখন, খাব মজার খেলা হবে। তাহার পর মাদর পাতা হইলে সেই মাদরে ছেলেদিগকে লইয়া বসিলাম। প্রথমে তাহাদেরই সব সম্পমতিক্রমে একটা নিয়ম করিয়া লইলাম যে, খেলার মধ্যে যে দলটামি বা গোল করিবে, তাহাকে খেলা হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইবে। শেষে খেলা আরম্ভ হইল। আমি শেলটে ল্যুকাইয়া লাকাইয়া একটি ঘোড়া আকিলাম। তাহার জিভ বাহির হইয়া আছে। শেষে তাহার জিভে ‘ক’ লেজের আগায় ‘খ’ পায়ের খবরে “গ” এইরপে বর্ণমালার অক্ষরগলি লিখিলাম। শেষে সেই ঘোড়া যখন সকলের সম্মখে বাহির করিলাম, তখন মহা হাস্যের রোল উঠিল। যাহাঁদের কিছ-কিছ: অক্ষর পরিচয় হইয়াছিল, তাহারা চীৎকার করিতে লাগিল, “ঘোড়ার জিভে ক, ল্যাজে খ,” ইত্যাদি। আর যাহাঁদের বর্ণপরিচয় হয় নাই, তাহারা ঝাকিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কই ভাই, দেখি কেমন জিভে ক,” ইত্যাদি। দেখিতে দেখিতে তাহাদের বর্ণপরিচয় হইতে লাগিল। তৎপর দিন যেই স্কুলে প্রবেশ করিয়াছি, অমনি সব নিম্পন্ন শ্রেণীর ছেলেরা আসিয়া আমাকে ঘিরিয়া বলিতে লাগিল, “পন্ডিত মশাই, তুমি আমাদের ক্লাসে এস, আমাদের সঙ্গে খেলা করবে।” এই ঘটনাটা আমার চিরদিন মনে রহিয়াছে। পরে হরিনাভিতে ও ভবানীপরে যখন হেডমাস্টারি করিয়াছি, তখন নিম্পন্ন শ্রেণীর মাস্টারদিগকে ছেলেদিগকে ভুলাইয়া পড়াইবার উপদেশ দিয়াছি। ইংলন্ডে গিয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুল দেখিয়া ঐ সকল ভাব আমার মনে আরও প্রবল হয়। ব্রাহীম বালিকা শিক্ষালয়ের প্রথম কল্পনা। ব্রাহম পাড়ায় ছোট-ছোট ছেলেমেয়োদিগকে সবান্দা সমাজের মাঠে খেলিতে দেখিয়া মনে চিন্তা করিতে লাগিলাম, ইহাদিগকে বেথন সন্মুকুল প্রভৃতি বিদ্যালয়ে না পাঠাইয়া এদের জন্য একটি ছোট সবুকুল করা যাক। স্কুলটি তিন ঘণ্টা বসিবে, এবং কিন্ডারগাটেনের অন্যরােপ প্রণালীতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া হইবে। এই ভাবিয়া প্রথমে কতকগালি শিশ, সংগ্রহ করিয়া পড়াইতে আরম্ভ করা গেল। স্কুলটিতে বালিকাই অধিক জটিল, সঙ্গে শিশী বালকও থাকিত। নাম রাখা গেল ব্রাহ বালিকা শিক্ষালয়। আমি নিজে সব নিম্পন্ন শ্রেণীতে বোডের সাহায্যে ছবি আকিয়া পড়াইয়া দেখাইতাম, কেমন করিয়া পড়াইতে হয়। সে সময়কার SRGO