পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথাপন করেন। তখন ৱাহ-বালক, বোডিঙের ভার শ্রন্ধেয় গরচরণ মহলানবিশ মহাশয়ের প্রতি আপিত হয়। অনেক বালকের দেয় অনাদায় থাকাতে গািরদাসবাবরা বাজারে প্রায় পাঁচশত টাকা দেন। রাখিয়া যান, তাহা আমাকে দিতে হয়। মহলানবিশ মহাশয়ের হাতে সে বোডিংটি উঠিয়া যায়। কিন্তু তিনি আবার একটি ব্রাহম বালক বোডিং ও স্কুল স্থাপন করিয়াছেন এবং অদ্যাবধি চালাইতেছেন। উপাসকমণ্ডলীর দায়ী পথায়ী আচাষ। আমার এই সময়ের আর একটি বিশেষ কাজ, কলিকাতা সাধারণ ব্রাহামসমাজের উপাসকমন্ডলীর উন্নতি সাধন। বরাবর উপাসকমন্ডলীর কাজ এই ভাবে চলিয়া আসিতেছিল যে, সম্পাদক এক-এক সপতাহে একএকজনকে উপাসনা করিতে অনরোধ করিতেন; তিনি উপাসনা করিতেন। আমরা এই ভাবেই উপাসনা করিয়া আসিতেছিলাম, তাহাতে কিছই জমিতেছিল না। পরে ১৮৯৪ সালে ডাক্তার প্রসন্নকুমার রায় উপাসকমণ্ডলীর সম্পাদক হন। তিনি অন্যভব করিতে লাগিলেন যে, খািল্টীয় সমাজের অন্যরােপ পাসটোরাল সিস্টেম প্রবতিত করিতে না পারিলে প্রকৃত আধ্যাত্মিক উন্নতি হইবে না। আমার নিকট এই প্রস্তাব উপস্থিত করাতে আমি হািদয়ের সহিত সে কাযে সহায় হইলাম এবং উপাসকমন্ডলীর প্রথম দায়ী সাথায়ী আচায্যের ভার গ্রহণ করিলাম। আচায্যের ও উপাসকগণের ব্যবহােরাথ ব্রাহামসমাজ লাইব্রেরি নামে একটি লাইব্রেরি সংস্থাপিত হইল। আমি আমার আপিস তাহাতে সন্থাপন করিয়া আচায্যের কায করিতে লাগিলাম। প্রতি সপ্তাহে লিখিয়া উপদেশ দিতাম এবং সেই উপদেশ। পরে ক্ষদ্র পস্তিকার আকারে মাদ্রিত হইত। সেই উপদেশগলি পােস্তকাকারে সংগহীত হইয়া ‘ধমজীবন’ নামে মাদ্রিত হইয়াছে। এই গ্রন্থখানিকে আমার আধ্যাত্মিক চিন্তা ও ধমজীবনের পরিণত ফল बळ८ढ् श्ङ् । কিছদিন পরে শারীরিক অস্বাস্থ্যের জন্য আমাকে দায়ী আচায্যের কাজ ত্যাগ করিয়া নানাস্থানে যাইতে হয়। উপাসকমন্ডলীর কাজ আবার পববৎ দাঁড়াইয়াছে। সেটা একটা দঃখের বিষয়। ইহার পরে এই সময়ের মধ্যে আর নতন কাজে হাত দিই নাই। কয়েক বৎসর ধরিয়া সাধনাশ্রমের কাজ ও উপাসকমশন্ডলীর আচায্যের কাজ, এই দাই কাজই প্রধান কাজ থাকিয়াছে। ১৮৯৮ সালে সবাস্থ্যের জন্য চন্দননগরে গঙ্গাতীরবতী একটি বাড়িতে গিয়া থাকি। সেখান হইতে রবিবার কলিকাতায় আসিয়া মন্দিরে আচাযের কাব্য করিতাম, এবং সমাজের অন্যান্য কাজে সাহায্য করিতাম। ১৮৯৯ সালের শেষে কলিকাতায় ফিরিয়া আসি । “রামতন লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ” রচনা। এই কালের অপর উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে আর একটি এই। এই সময়ের মধ্যে আমার মন্দিরের উপদেশ ‘ধমজীবন’ ব্যতীত, “যাগান্তর’ ও ‘নয়নতারা” নামে দইখানি উপন্যাস, ও মাঘোৎসবের উপদেশ ও বস্তৃতা’ প্রভৃতি ক্ষদ্র-ক্ষন্দ্র পস্তিকা প্রকাশিত হয়। তলিভন্ন ‘রামতন লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ” নামে একখানি গ্রন্থ, এবং আমার রচিত প্রবন্ধ সকল সংগ্রহ করিয়া “প্রবন্ধাবলী” নামে এক গ্রন্থ, মাদ্রিত করি। পত্র কন্যার বিবাহ। এই কালের মধ্যে ১৮৯৩ সালে আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা হেমলতার Rob R πη