পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DDBDBD BD S DBBDB DBDDDS BDBDBDS DD BBDBLBLB BD BBD DBDBDB চিকিৎসার জন্য সমাজের বন্ধগণ কতৃক প্রেরিত হইয়াছিলেন, তিনি আমার পীড়ার সময় হেমের সহিত পরিচিত হন। সেই পরিচয় ক্রমে দাম্পত্যপ্রেমে পরিণত হয়, এবং অবশেষে তিনি হেমকে বিবাহ করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন, এবং আমার অন্যািমতি “পাইয়া তাঁহারা বিবাহিত হন। এই কালের মধ্যে আমার সবকনিষ্ঠা কন্যা সহাসিনীও বিবাহিতা হয়। সাধনাশ্রম সংসন্ট কুঞ্জলাল ঘোষ নামক একজন যাবকের সহিত তাহার বিবাহ হয়। "দঃখের বিষয়, ইহার পর সহাসিনী বহদিন বাঁচিয়া থাকে নাই। ১৮৯৯ সালে বিবাহিতা হইয়া ১৯০৬ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিল, ঐ সালের ১৫ই নভেম্বর দিবসে গতাস হয়। ১৯০১ সালের গ্রীষ্মকালে আমার পত্র প্রিয়নাথের বিবাহ হয়। ঐ বিবাহ কটকের সম্প্রসিদ্ধ ব্রাহাম-বন্ধ মধ্যসািদন রাওর দ্বিতীয়া কন্যা অবন্তী দেবীর সহিত হয়। এই বিবাহের ফলস্বরপ অদ্য পর্যন্ত একটি পত্র সন্তান জন্মিয়াছে। ১৯০১ সালের ৩রা জন প্রসন্নময়ী সবগারোহণ করেন। তৎপরে বহল বৎসর তিনি গারতের বহরমাত্র রোগে ক্লেশ পাইতেছিলেন। ১৮৮৮ সালে তিনি পরলোকগীত রামকুমার বিদ্যারত্ন ভায়ার মাতৃহীন সবকনিষ্ঠা কন্যা রামাকে কন্যা রূপে গ্রহণ করেন। তখন তার বয়স এক বৎসর। তাহাকে লওয়ার কিছদিন পরেই তাহার গারতের রক্তামাশয় রোগ জন্মে। সেই সময় রাত্রি জাগরণ ও দভাবনাতে প্রসন্নময়ীর বহনুমন্ত্র রোগের সঞ্চার হয়। তদবধি তাঁহাকে সবাস্থ্যের জন্য নানাসস্থানে প্রেরণ করা হয়। কিছতেই উপশম হয় নাই। অবশেষে ১৯০১ সালের জন মাসে অঙ্গলিতে ক্ষত হইয়া প্রসন্নময়ীর প্রাণ বিয়োগ হয়। বহরমাত্র রোগের আক্রমণ। প্রসন্নময়ী চলিয়া গেলেন। এদিকে সেই বৎসরেই আমাকে সাধারণ ব্রাহমসমাজের সভাপতি নির্বাচন করাতে আমাকে গরতের পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। সেই পরিশ্রম ও দশিচন্তাতে, প্রসন্নময়ী চলিয়া যাওয়ার কিছদিন পরেই, আমার বহনুমন্ত্র রোগ প্রকাশ পাইল। তদবধি আর বসিয়া নিরদিবগন চিত্তে কাজ করিতে পারিতেছি না। বৎসরের মধ্যে কয়েক মাস সবাসেনেথ্যর জন্য সিমলা, দাজিলিং, কটক, পরী, প্রভৃতি স্থানে থাকিতে হইতেছে। সমগ্র ভারত ভ্রমণ। এই অস্বাস্থ্যের অবস্থাতেও যথাসাধ্য সমাজের কাজ করা আবশ্যক হইতেছে। কিন্তু অনেক সময় শহরে না থাকাতে সাধনাশ্রমের কাজের ক্ষতি হইয়াছে। এই পীড়িত অবস্থাতেও একবার ইচ্ছা হইল যে সমাদয় ভারতবর্ষ প্রদক্ষিণ করিয়া আসি। তদনসারে ১৯o৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পত্নী বিরাজমোহিনী ও আশ্রম সংশিলাস্ট শ্রীমান হেমেন্দ্রনাথ দত্তকে লইয়া ভারত ভ্রমণে বহির্গত হই। বহির্গত হইবার সময় সঙ্কল্প করি যে, যাত্রার সাহায্যের জন্য বিশেষ ভাবে কাহারও নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিব না। যাত্রার পাবে মন্দিরে ব্রাহমাধম্যের প্রচার বিষয়ে একটি বস্তৃতা করিব। সেই বস্তৃতা পথলে একটি ভিক্ষার ঝলি থাকিবে, সম্ভবতঃপ্রবত্ত হইয়া তাহাতে যিনি যাহা ফেলিয়া দিতে চান দিবেন, তাহাই আমাদের যাত্রার পাথেয় সম্বরপ হইবে। তদনসারে বক্তৃতার দিন একটি ঝলি ঝালাইয়া দেওয়া হইল, তাহাতে বন্ধ্যরা যিনি যাহা ফেলিয়া দিলেন, তাহা লইয়াই আমরা বহির্গত হইলাম। পথে একবার মাত্র R O