পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বাবার ক্লিয়াকমে মা বড় আস্থা রাখিতেন না। বলিতেন, “তুমি তো ধমাথোঁ তত কর না, যত “ভ্যােলা রে পশ্চিডত' শোনবার জন্যে কর।” এই লইয়া দাইজনে অনেকবার বিবাদ হইতে দেখিয়াছি। মা ধমকমের মধ্যে কোনো প্রকার অভিসন্ধির গন্ধ সহ্য করিতে পারিতেন না। যাহা কিছল অসৎ, যাহা কিছল অপবিত্র, তাহার প্রতি মাতার এত ঘণা ছিল যে, শৈশবে আমি এবং আমার ভগিনীগণ পাড়ার বালক-বালিকাদের সঙ্গে মিশিয়া কত যে খারাপ বিষয় দেখিতাম, কত খারাপ কথা শানিতাম, তাহার একটিও বাড়িতে আনিতে সাহস করিতাম না। আমি একবার একটি খারাপ কথা বাড়িতে উচ্চারণ করিয়া ষে সাজা পাইয়াছিলাম, তাহা যথাস্থানে লিখিয়াছি। মা ভালোবাসিবার সময় ফলের ন্যায় কোমল, অথচ শাসন করিবার সময় লৌহের ন্যায় কঠিন হইতেন। অতএব ইহা আমি অকুন্ঠিতভাবে বলিতে পারি যে, আমি যে ঈশবিরে ও পরকালে, এবং সত্যে ও নিজ কতব্যে আপথা। রাখিতে শিখিয়াছি, তাহা অনেক পরিমাণে আমার জননীকে দেখিয়া। তিনি যে কেবল তাঁহার স্তনদ গোধর দাবারা আমাকে পালন করিয়াছিলেন, তাহা নহে; তাঁহার চরিত্রের দাবারাও আমার চরিত্রে গঠন করিয়াছিলেন। জ্যেষ্ঠ মাতুল আবারকানাথ বিদ্যাভূষণ। ১৮৫৬ সালে আমি যখন আমার পিতার সহিত কলিকাতাতে পড়িতে আসিলাম ও চাঁপাতলায় আমার মাতামহের বাসাতে উঠিলাম, তখন মাতামহ মহাশয় সেখানে ছিলেন না। তিনি পীড়িত হইয়া দেশে ছিলেন। আমি সেই সময় হইতে বাসার অপরাপর লোকের ব্যবহার ও আমার জ্যোিঠ মাতুল দাবারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের ব্যবহারে কিছ পথিক দেখিতাম। তিনি তামাকটি পর্যন্ত খাইতেন না ; সব দা গম্ভীর, বাসার আমোদ-প্রমোদে যোগ দিতেন না এবং সবােদা পাঠে মগন থাকিতেন। তিনি বোধহয় তখন তাঁহার ‘গ্রীস ও রোমের ইতিহাস’ লিখিতেছেন। গহে যেমন তাঁহাকে পাঠে নিযক্ত দেখিতাম, সংস্কৃত কলেজে পড়িতে গিয়াও দেখিতাম, তিনি লাইব্রেরি গাহের এক কোণে পাঠে নিমগন আছেন। এমনি গম্ভীর যে লোকে তাঁহার কাছে। যাইতে ভয় পায়। বাস্তবিক, তিনি এমনি গম্ভীর মানষি ছিলেন যে, আমার মা'র মাখে শনিয়াছি, দাদা ঘরে আছেন দেখিলে ভগিনীরা পায়ের মল টানিয়া হাঁটার কাছে তুলিয়া আস্তে-আন্সেত সিড়িীতে নামিতেন। বড়মামার এত কম কথা কহা অভ্যাস ছিল যে, আমাকে যে এত ভালোবাসিতেন। আমাকেও কখনো একটি আদর বা ভালোবাসার কথা বলেন নাই। তিনি বসিয়া আছেন। বা বেড়াইতেছেন দেখিলে আমরা সে ধারা দিয়া যাইতাম না। আমার বয়স যখন ১২ কি ১৩ বৎসর, আমার বড়মামীর বয়স ১৭ কি ১.৮ (ইনি বড়মামার তৃতীয়পক্ষের সন্ত্রী) তখন মাসীরা একটা কথা লইয়া বড় হাসাহসি করিতেন, তাই মনে আছে। সে কথাটা এই ; মামার পড়ার নেশা এমনি প্রবল ছিল যে, রাত্রি ১১টার সময় বড়মামী যখন গহকায সমাধা করিয়া শয়ন করিতে গেলেন, তখন দেখিলেন যে বড়মামা এমনি পাঠে নিমগন যে একবার মামীর দিকে চাহিয়াও দেখিলেন না। মামী গায়ে পড়িয়া কথা কহিতে গেলেন, বিড়মামা বাম হস্তের ইশারা করিয়া তাঁহাকে থামিতে আদেশ করিলেন। মামী মানিনী হইয়া দাম করিয়া আছাড়িয়া বিছানাতে পড়িলেন, সে রাত্রে DD DBB DBDB BB DBDBDB DDS DBBDDBS DD BDDBDB DDD SLLuD SRb#O