পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রে তোর কেমন করে চলে ?” আমি গহতাড়িত হইয়া কািন্ট পাইতেছি, এই মনে করিয়া তাঁহার ক্লেশ হইত। আমি গবর্ণমেণ্টের চাকুরী যখন ছাড়িলাম, তখন একজন গিয়া তাঁহাকে বলিলেন, “মশাই, পাজিটা এমন সখের চাকরীটা ছেড়ে দিয়েছে।” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “কোন পাজির কাছে বলছ ? সে তো আমার মনের মতো কাজ করেছে।” কেহ তাঁহার নিকট গিয়া আমাকে গালাগালি করিলে, তিনি আমার ব্রাহামসমাজে প্রবেশের জন্য দঃখ করিতেন; কিন্তু বলিতেন, “যাই বল, ওকে বকে রাখলে আমার বক ব্যথা করে না।” আমি নানা সদস্থলে নানা অবস্থাতে তাঁহার সঙ্গে মিশিয়া তাঁহার প্রকৃতির গণ সকল দেখিবার যথেস্ট অবসর পাইতাম। এরপ দিয়াবান, সদাশয়, তেজীয়ান, উগ্র উৎকট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানষি এ জীবনে অতি অল্পই দেখিয়াছি। আমার প্রণীত প্রত্ন” নামক গ্রন্থে বিদ্যাসাগর প্রবন্ধে তাঁহার অনেক গণের উল্লেখ প্রথমা পত্নী প্রসন্নময়ী দেবী। অন্যমান। ১৮৫o সালে কলিকাতার ৫ ক্লোশ দক্ষিণপবে কোণে অবস্থিত রাজপর নামক গ্রামে, এক দরিদ্র ব্রাহণের গহে প্রসন্নময়ীর জন্ম হয়। আমার বয়ঃক্রম যখন তিন বৎসর ও তাঁহার বয়ঃক্রম যখন একমাস মাত্র, তখন দক্ষিণাত্য কুলীন বৈদিক ব্রাহণদিগের কুলপ্রথা অনসারে তাঁহার সহিত আমার বিবাহ সম্পবিন্ধ সাপথাপিত হয় এবং তাঁহার ৮ কি ৯ বৎসর ও আমার ১১ কি ১২ বৎসর বয়সে ঐ সম্পবিন্ধ বিবাহে পরিণত হয়। আমার প্রপিতামহ পাজ্যপাদ রামজয় ন্যায়ালঙ্কার মহাশয় এই বাগদান ক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বালিকা প্রসন্নময়ী বধরপে আমাদের গহে আসিয়া বড় অধিক সমাদরে গহীত হন নাই। জ্ঞানালোচনাতে ও সামাজিক অবস্থাতে হীন বলিয়া আমার শব্বশরকুলের ব্যক্তিগণের প্রতি আমার পিতামাতার, বিশেষত আমার পিতার, অবজ্ঞা ছিল। প্রসন্নময়ী সে গাহের কন্যা সতরাং তিনিও কিয়ৎ পরিমাণে সেই অবজ্ঞার অংশী হইয়াছিলেন। তাঁহার সকল কাজকমের মধ্যে আমার জনক-জননী অজ্ঞ ও অশিক্ষিত বংশের পরিচয় পাইতেন। তাঁহার বালিকাসলভ সামান্য-সামান্য ত্রটি সকলও গারতের অপরাধ বলিয়া পরিগণিত হইত। হিন্দ গহন্থের ঘরে বালিকা বধকে শািবশ্র ও গরজনের সমক্ষে কিরােপ ভয়ে-ভয়ে বাস করিতে হয় তাহা অনেকে জানেন, অতি অলপ বালিকাই সে পরীক্ষাতে উত্তীণ হইতে পারে। এরপ সকল দিক দেখিয়া চলা, সরল প্রকৃতির বালিকা প্রসন্নময়ীর বন্ধিতে কুলাইত না সতরাং তিনি ত্বরায় পতিগহে বিরাগভাজন হইয়াছিলেন। আমি এখন এই সকল কথা বলিতেছি, তখন বলি নাই। তখন আমিও বালক ছিলাম, সম্পণেরপে গরজনের ও পরিবারস্থ ব্যক্তিগণের প্রভাবের অধীন ছিলাম। আমি তখন অধিকাংশ সময় কলিকাতায় থাকিতাম। গ্রীষ্মম ও পাজার ছটিতে গহে। যাইতাম, তখন বালিকা-পত্নীর সহিত সাক্ষাৎ হইত। কিন্তু তখন আমি অপরের চক্ষেই তাঁহাকে দেখিতাম এবং অনেক সময় গরজনের শাসনের উপরে শাসনের মাত্রা বধিত করিয়া প্রসন্নময়ীর জীবনকে বিষময় কারিতাম। তাহা সমরণ করিয়া পরে अCन्षक £काएछ कर्गन्नझाछ । ՀԵՑ